এই কণ্ঠের জন্যই আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে আছি’ এবার কটূক্তির জবাব দিলেন প্রেরণা

আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 19 মার্চ: সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে রাতারাতি জনপ্রিয়তার শিখরে উঠে আসা অনেক তরুণ-তরুণীর মধ্যে অন্যতম প্রেরণা দাস। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির চাকরির মোহ ত্যাগ করে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছেন তিনি। প্রতিটি ভিডিওতেই হাজার হাজার লাইক ও ভিউ কুড়ানো এই তরুণী আজ সোশ্যাল মিডিয়ার এক পরিচিত মুখ। তবে ফেমের পাশাপাশি তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে কটূক্তি ও ট্রোলিংয়ের শিকার হওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা।

প্রেরণার অন্যতম বৈশিষ্ট্য তাঁর কণ্ঠস্বর, যা স্বাভাবিকের থেকে আলাদা। ফ্যারেঞ্জাইটিসের কারণে ছোট থেকেই তাঁর গলা হাস্কি। এই কণ্ঠস্বর নিয়ে তাঁকে শুনতে হয়েছে বহু অপমানজনক কথা। স্পোর্টস কমেন্টারি করার জন্য যেমন তাঁকে ট্রোল করা হয়েছে, তেমনি হাস্কি গলার জন্যও বিদ্রূপের শিকার হতে হয়েছে। তবে প্রেরণা ভেঙে পড়েননি। বরং সেই ট্রোলিংকেই নিজের শক্তি হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

এই প্রসঙ্গে প্রেরণার বক্তব্য, “ছোটবেলায় আমার গলা নিয়ে অনেক কমপ্লেক্স ছিল। খারাপ লাগত, নিজেকে আলাদা মনে হত। কিন্তু পরে বুঝেছি, আমার কণ্ঠস্বরই আমার পরিচয়। এই কণ্ঠের জন্যই আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে আছি। শুরুতে রেডিও জকির চাকরির প্রস্তাবও পেয়েছিলাম, কিন্তু জীবনের লক্ষ্য অন্য ছিল বলে সেই পথ বেছে নিই নি।”

অন্যরকম কণ্ঠস্বর নিয়ে ক্যামেরার সামনে সাবলীলভাবে কাজ করা এবং হাজারো মানুষের ভালোবাসা পাওয়া সহজ ছিল না। তবে প্রেরণার মতে, নিজের দুর্বলতাকে শক্তি বানানোর মধ্যেই জীবনের সার্থকতা। তিনি বলেন, “ট্রোলিং প্রথমে কষ্ট দিলেও পরে বুঝেছি, যারা ট্রোল করে তাদের কথা নিয়ে ভাবার কোনো মানে নেই। এখন আমি আমার কণ্ঠকে ভালোবাসি। এটাই আমার পরিচয়।”