আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 4 ডিসেম্বর: শুরু হয়েছে শীতের মরশুম। এই সময়ে অনেকেই ঘরের এসি বন্ধ রেখেছেন। তবে আপনি কি জানেন এসি বন্ধ রাখার আগে নির্দিষ্ট কয়েকটি কাজ করতে হয়। যে কাজগুলি না করলে ক্ষতি হতে পারে আপনার এসিরই। যেমন:
১. প্রথম যে কাজটা দরকার, সেটা হল ব্যবহার না করলে এসি আনপ্লাগ করে রাখা। এতে শর্ট সার্কিটের ভয় থাকবে না।
২. এবার আসা যাক পরিষ্কারের বিষয়ে। শুরু করা যাক এসির ফিল্টার দিয়ে। স্প্লিট এসি হলে সামনের ঢাকনাটা আলতো করে তুলে ফিল্টার বের করে নিলেই হল। উইন্ডো এসির ক্ষেত্রে ফ্রন্ট প্যানেল খুলে তা বের করতে হবে। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে লাগিয়ে দিলেই হল।
৩. এসির ভিতরে থাকে ইভাপোরেটর কয়েল আর বাইরে থাকে কনডেনসার কয়েল। দুটোই পরিষ্কার রাখা দরকার। স্প্লিট এসি হলে সামনের ঢাকনাটা আলতো করে তুলে একটা নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ইভাপোরেটর কয়েল মুছে নিতে হবে। আউটডোর ইউনিটের ক্ষেত্রে কয়েল ক্লিনার স্প্রে ব্যবহার করলে ভাল হয়। এর কারণ কনডেনসার কয়েলে ধুলো জমে বেশি।
৪. অনেকেই নিশ্চয়ই দেখেছেন সার্ভিসিংয়ের সময়ে ইঞ্জিনিয়াররা একটা টুথব্রাশ দিয়ে এসির ভিতরে একটা জায়গা পরিষ্কার করেন। ওই জায়গাটিকে বলে ফিন। আমাদেরও টুথব্রাশ দিয়েই তা করতে হবে। কোনও ফিনে বেন্ট থাকলে ফিন কম্ব দিয়ে তা আলতো করে সোজা করে দিতে হবে।
৫. এসির আর্দ্রতা যে অংশ শুষে নেয়, তাকে বলে কনডেনসেশন লাইন। এই জায়গাটা খুঁজে বের করে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে জমে থাকা ময়লা টেনে বের করে আনতে হবে।
৬. সবশেষে আসে আউটডোর ইউনিটের কথা। ওটায় ময়লা জমে সবচেয়ে বেশি। তাই ওই অংশ জল দিয়ে ধুতে হবে। একটা পাইপ দিয়ে জল ছিটিয়ে ছিটিয়ে ধুয়ে নিন। তবে খুব বেশি জল দেওয়া চলবে না, এতে মেশিনের ক্ষতি হতে পারে।
৭. বাকি থাকে কেবল দুটো কাজ। ইনডোর আর আউটডোর দুই ইউনিটই ঢেকে রাখতে হবে। এটা করলে মেশিনে ধুলো জমবে না।
তবে সাবধান! অনেক সময় এসির লক ভেঙে যেতে পারে। কারণ এসির ফ্যান হাতে দিয়ে পরিষ্কার হয় না, এটি হাই প্রেসার মেশিন দিয়ে ওয়াশ করতে হয়। এজন্য ভালো একজন টেকনিশিয়ান নিয়েই সার্ভিস করুন, তাতে আপনার এসি অনেকদিন যাবত ভালো থাকবে।