নিউ আলিপুরে ঝুপড়িবাসীদের আগুনের শিখা কেড়েছে সর্বস্ব! সব হারিয়ে শীতে রাত কেটেছে বাইরে

আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,২২ ডিসেম্বর: চারিদিকে ধ্বংসস্তূপ আগুনে পুড়ে ছাই। দুইজন মহিলা ওই ছাইয়ের গাদায় হাতড়াছেন। কিছু যদি খুঁজে পাওয়া যায়। চারিদিকে শুধু পোড়া গন্ধ। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে কান্নার শব্দ। সবকিছু হারিয়ে বাসিন্দাদের হাহাকার বাসিন্দাদের। বাড়ি ঘরের সঙ্গে তাদের স্বপ্নটাও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই শীতের রাতে ভিটে-মাটি হারিয়ে রাস্তায় কাটছে জীবন। দুচোখের পাতা এক করতে পারেননি তাঁরা।

গত ২১শে ডিসেম্বর সন্ধ্যেবেলায় তপসিয়ার পর নিউ আলিপুরের বসতিতে আগুন লাগে। তাদের বাড়িঘর পুড়ে মুহূর্তের মধ্যে ছাইতে পরিণত হয়। সেনাবাহিনী ও দমকল কর্মীরা উদ্ধারকার্য নামেন। প্রায় দু’ঘণ্টা চেষ্টা করার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই অগ্নিকাণ্ডে কোন হাতাহাতি খবর নেই সেটা ঠিকই। তবে ঘরবাড়ি সমস্ত পড়ে গিয়ে এলাকাবাসীদের স্বপ্ন পুড়ে গিয়েছে।আগুন লাগার পর এক কাপড়েই বেরিয়ে গিয়েছিলেন সবাই। জমানো টাকা, আধার, ভোটার কার্ড দরকারি কাগজপত্র থেকে মজুত করে রাখা চাল, ডাল, খাবার গিলে নিয়েছে আগুনের শিখা।

বসতিতে ঝুপড়ি ছিল অন্তঃসত্ত্বা মোহিনী দাসের। চলতি মাসেই পৃথিবীর আলো দেখতে পারে তাঁর সন্তান। আগুন লাগার পর কোনও মতে পালিয়ে বেঁচেছেন তিনি। মোহিনীর কথায়, “আগুন সব কিছু কেড়ে নিয়েছে। আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে চিকিৎসক ভর্তি হওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু সব কিছু পুড়ে গেল। কী করে হাসপাতালে ভর্তি হব সেই চিন্তা করছি।” আরও এক বাসিন্দা বলেন, “অন্যের বাড়িতে কাজ করে কিছু টাকা জমিয়েছিলাম। ঘরের সঙ্গে সেই টাকাও গেল। জামাকাপড়ও কিছু বার করতে পারিনি। সব শেষ হয়ে গেল।” আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে যান অরূপ বিশ্বাস, মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। একটি স্কুলে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। শহরের বিভিন্ন ঝুপড়িতে পরপর আগুন লাগা নিয়ে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেন খোদ মেয়র।