আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 9 মার্চ: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করল ভারত। ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে পরাজিত করে রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারত অর্জন করল তাদের তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শিরোপা। ২০১৩ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির অধীনে শেষবার এই ট্রফি জিতেছিল ভারত। এক দশকের বেশি সময় পর এবার রোহিতের হাত ধরে আবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গর্বে ভাসল দেশ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। শুরুতে ওপেনার উইল ইয়ং ও রাচিন রবীন্দ্রর জুটি ৫৭ রানের ভিত্তি গড়ে দিলেও মিডল অর্ডারে বড় ইনিংস গড়ে তোলার ব্যর্থতা দলকে ভুগিয়েছে। ড্যারিল মিচেল ৬৩ রান করেন এবং মিচেল ব্রেসওয়েল ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে কিউয়ি ব্যাটাররা ভারতের স্পিনারদের বিপক্ষে বেশ ভুগেছে।
ভারতের হয়ে স্পিন বিভাগ ছিল কার্যকর। বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব দুটি করে উইকেট নেন। রবীন্দ্র জাডেজার হাতে আসে একটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। পেস আক্রমণে কিছুটা কম সময় বল করেও মহম্মদ সামি ও হার্দিক পান্ডিয়া কিউয়িদের চাপে রেখেছিলেন। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ভারতের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। রোহিত শর্মা ও শুবমান গিলের ওপেনিং জুটি ১০৫ রান তোলে। রোহিত নিজের চেনা আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন, আর গিল দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ইনিংসের ভিত্তি গড়ে দেন। স্যান্টনারের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে গিলের বিদায়ের পরপরই এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন বিরাট কোহলি, যা ভারতীয় শিবিরে সাময়িক চাপ সৃষ্টি করেছিল।
গিল ও বিরাট দ্রুত ফিরে যাওয়ার পর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন শ্রেয়স আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল। তাদের ৬১ রানের পার্টনারশিপ দলের ভিত মজবুত করে। তবে অক্ষর ও শ্রেয়স দুজনই আউট হয়ে গেলে ভারতের প্রয়োজন ছিল এক স্থির ফিনিশিং। সেই দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন কেএল রাহুল ও হার্দিক পান্ডিয়া। পরে রবীন্দ্র জাডেজার সাথে রাহুল মিলে ম্যাচ শেষ করে দেন।
৪৯ ওভারেই ২৫২ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে ভারত নিশ্চিত করে ট্রফি জয়। নিউজিল্যান্ডের হয়ে বল হাতে স্যান্টনার ও ব্রেসওয়েল দুটি করে উইকেট নেন। তৃতীয় শিরোপার ইতিহাসে টিম ইন্ডিয়া এই জয়ের ফলে ভারত তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের রেকর্ড গড়ল। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে পাওয়া এই জয় দলকে ইতিহাসের পাতায় নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেল।