আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 29 ডিসেম্বর: মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া জেলার ভামগড় গ্রামে শনিবার ভোররাতে একটি 500 বছরের পুরোনো রাম মন্দিরে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে মন্দিরের বিরল ভাস্কর্যসহ অন্যান্য মূল্যবান স্থাপনা ভস্মীভূত হয়ে যায়। স্থানীয়দের ধারণা অনুযায়ী, আগুনের সূত্রপাত তেলের বাতি থেকে হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় মন্দিরের ঐতিহাসিক গুরুত্বও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা এলাকাবাসীর জন্য একটি বড় শোকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসন ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে।
খান্ডওয়া থেকে প্রায় 140 কিলোমিটার দূরে, জাওয়ারের ভামগড় গ্রামে অবস্থিত এই কাঠের রাম মন্দিরটি প্রায় 500 বছরের পুরোনো বলে জানা গিয়েছে। এই মন্দিরে ভগবান রাম এবং লক্ষ্মণের অনন্য মূর্তি ছিল, যেগুলি সব আগুনে পুড়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাত 1:30 মিনিট নাগাদ আগুন দেখতে পেয়ে মন্দিরের পুরোহিত সেতু পান্ডে জেগে ওঠেন। এরপর গ্রামবাসীরা বালতি থেকে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে এবং ফায়ার ব্রিগেডকে খবর দেয়।
কিন্তু খান্ডোয়া ও হারসুদ থেকে দমকলের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মন্দিরটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মন্দিরের কিছুই আগুন থেকে বাঁচতে পারেনি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হচ্ছে। জাওয়ার থানার ইনচার্জ গঙ্গা প্রসাদ ভার্মা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে আগুনের কারণ তেলের বাতি বলেই মনে হচ্ছে।
ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে এই মন্দিরটি গ্রামবাসীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে ভগবান রামকে রাজকীয় রূপে পূজা করা হত এবং রাজার উপযোগী আচারগুলি অনুসরণ করা হত। পান্ডে পরিবার গত ১৩ প্রজন্ম ধরে এই মন্দিরের পুরোহিত। মন্দিরের পিছনে আবর্জনার স্তূপ থাকার কারণে আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পর গ্রামবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সেতু পান্ডে এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই মন্দির আমাদের গর্ব। ভগবান রাম সর্বদা এই গ্রামটিকে রক্ষা করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি যে, তিনি আমাদের রক্ষা করার জন্য এই কষ্ট নিজের উপর নিয়েছেন।’