আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 12 ফেব্রুয়ারি: ম্যাকাউটের এম-টেকের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সায়নী সেনের রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। ছাত্রীর মৃত্যুর পর মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে, ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপুরের বাসিন্দা সায়নী তাঁর মায়ের সঙ্গে থেকেই পড়াশোনা করতেন। সোমবার তাঁর পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ খোঁজাখুঁজির পর প্রশাসনিক ভবনের উপরে তাঁর ব্যাগ ও চশমা পড়ে থাকতে দেখা যায়। সন্দেহ হওয়ায় নীচে অনুসন্ধান করা হলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
তড়িঘড়ি তাঁকে হরিণঘাটা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাফিলতির অভিযোগ তুলে রাতেই জাতীয় সড়ক ১২ নম্বর অবরোধ করে ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালকের অভাবে তা কাজে লাগানো যায়নি, যার ফলে অমূল্য প্রাণহানি ঘটেছে। পুলিশের হস্তক্ষেপে দেড় ঘণ্টা পর অবরোধ উঠে যায়।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ঘটনাস্থলে এলে উত্তেজিত ছাত্রছাত্রীরা তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। মঙ্গলবার সায়নীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয় কল্যাণী জে.এন.এম হাসপাতালে। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে নতুন প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, পরীক্ষায় নকল করার সময় সায়নী ধরা পড়েছিলো। এখন প্রশ্ন, তাহলে কি অপমান সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল? নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ লুকিয়ে আছে? এই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ছাত্রছাত্রীরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে। যদিও প্রশাসন এখনও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। তবে ছাত্রসমাজের আন্দোলন ক্রমশ জোরদার হচ্ছে।