ইদের সকালে রেড রোড থেকে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

আজ পবিত্র ইদ। গোটা দেশজুড়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা মেতে উঠেছেন ইদ-উল-ফিতর উদযাপনে। সোমবার ইদের দিন সকাল সকাল রেড রোডে উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শহরের প্রাণকেন্দ্রে নমাজ পড়তে আসা মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের পবিত্র ইদের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে উঠে নমাজ পাঠের অনুষ্ঠানে থেকে মমতা দিলেন সম্প্রীতির বার্তা। সদ্যই লন্ডন থেকে কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজ মমতাকে বক্তৃতার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। বিদেশের মাটিতে বক্তৃতা-পর্বে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। সেই প্রসঙ্গ ইদের সকালে রেড রোডে দাঁড়িয়ে তুললেন মমতা। বললেন, কলকাতা থেকে বাম-রাম টিকিট কেটে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে তাঁরা আমায় প্রশ্ন করেছে আমি হিন্দু কিনা? আমি বললাম, আমি হিন্দু, আমি মুসলিম, আমি শিখ ও দিন শেষে আমি একজন ভারতীয়। এরা কি চায়? বিভাজনের রাজনীতি?’ ধর্মের ঊর্ধ্বে গিয়ে জাতির জন্যে তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন সে কথা মনে করালেন তৃণমূল সুপ্রিমো। রেড রোডের নমাজ পাঠের অনুষ্ঠান থেকে রামনবমী নিয়ে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, রামনবমী চলছে। রামনবমীর জন্যেও আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। কিন্তু আমরা চাই না যে দাঙ্গা হোক। সাধারণ মানুষ এমন কাজে

aajekhonnews.com

জড়িত হয় না। কেবল রাজনৈতিক দলগুলোই এই ধরণের কাজ করে। এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। তাঁদের প্ররোচনায় পা দেবেনব না’। রামনবমী ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজ্যের পারদ চড়তে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হাতিয়ার ‘সম্প্রীতি’। বললেন, সংখ্যাগরিষ্ঠের কর্তব্য সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা, আর সংখ্যালঘুর কর্তব্য সংখ্যাগরিষ্ঠদের সঙ্গে থাকা। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আমরা আপনাদের পাশেই আছি। আপনারা নির্ভয়ে থাকুন। নাগরিক হিসেবে আপনারা অধিকার নিয়ে বাঁচুন। কোনও ভয়ের কাছে মাথা নত করার দরকার নেই।” তিনি বলেন, “ওরা বলছে রাজ্যে অশান্তি হচ্ছে, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া উচিত। আমি বলি, মণিপুরে কী হয়েছে ? উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থানে কী হয়েছে ? ঈদের দিনে কে কী খাবে, তাতেও বিধিনিষেধ আরোপ করছে ওরা। কে কী পরবে, কোথায় থাকবে, সব কিছুতেই হস্তক্ষেপ করছে।” নিজের বক্তব্যের মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা স্পষ্ট, “আপনাদের সঙ্গে দিদি আছেন। আপনারা সুরক্ষিত। বাংলার মাটিতে বিভাজনের রাজনীতি চলবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বক্তৃতা করতে উঠে অভিষেকও সম্প্রীতি বজায় রাখার বার্তা দিয়ে বলেন, “চাঁদের কোনও ধর্ম হয় না।