বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকের পদ ফাঁকা পাঁচ হাজারেরও বেশি!

আজ এখন,দেবপ্রিয়া কর্মকার,১৫ মার্চ: দেশের যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলি আছে, সেই খানের তথ্য সামনে আসলে জানায় ৫ হাজার ৪১০টি অধ্যাপকের পদ ফাঁকা। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী নিজে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় ভাগে এই কথাটি জানান। তারপর থেকেই উঠে প্রশ্ন। যারা দেশের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ তৈরি করে, তাদেরই তৈরি করা লোকই যদি পুরোপুরি না থাকে, তাহলে কি হবে এই দেশের? ভারত কিভাবে বিশ্বগুরু হবে?

কেন্দ্রের কাছে বুধবার রাজ্যসভায় কেরল থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সাংসদ জে বি এম হিশাম কতগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের কত সংখ্যক অধ্যাপকের পদ খালি রয়েছে এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরকার তথ্য না দিলেও প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক রাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অনুমোদিত মোট ১৩ হাজার ২৩৫টি অধ্যাপকের মধ্যে ফাঁকা পদের সংখ্যা ৫ হাজার ৪১০। শতাংশের বিচারে যা প্রায় ৪১%। এর মধ্যে আবার তফসিলি জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য বরাদ্দ পদে যথাক্রমে ৭৮৮, ৪৭২ ও ১৫২১টিতে নেই কোনও শিক্ষক। এই তথ্য আসার পর থেকেই কেন্দ্রকে আক্রমণ, কটাক্ষ করা শুরু করেছে বিরোধীরা।

মঙ্গল ও বুধবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রককে সংসদে বিব্রত করা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “পাঁচ হাজারের বেশি পদ খালি মানে পঠনপাঠনের হাল কী বোঝা যাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় নয়, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়।” তাঁর বক্তব্য, “এই সরকার শিক্ষাখাতে জিডিপির মাত্র ০.৩৭ শতাংশ বরাদ্দ করেছে। অন্তত ৬% বরাদ্দ করা না হলে ভালো কিছু করাই সম্ভব নয়।” তফসিলি জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির খালি পদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এর ফলে সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষদের প্রতিও বঞ্চনা করছে কেন্দ্র সরকার।” শুধু কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়। শিক্ষকদের খালি পদের বিচারে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়েও দেশজুড়ে খালি আছে ৭ হাজার ৪১৪টি পদ। শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১ হাজার ৫৬৩।