আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,১৭ ফেব্রুয়ারি: হাওড়ার দাসনগরে ঘটে গেছে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ছেলেটি নিজের মায়ের মৃতদেহ কয়েক দিন ধরে আগলে রেখেছিল এবং পুলিশ জানতে পেরে তার মায়ের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা পরেই মৃত্যু হল ছেলেরও। গতকাল বালিটিকুরির এক বাড়ি থেকে রবিবার সন্ধ্যার পর উদ্ধার হয়েছিল প্রৌঢ়া রাসমণি নন্দীর মৃতদেহ। তার ছেলে সুজয় নন্দী কে বাড়িতেই অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তার বয়স প্রায় ৩০ এর কাছাকাছি। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিল। এবং হাসপাতালে রাত বারোটার পর তিনি মারা যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মা ছেলে দুজনে অনেকদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল। বেশ কিছুদিন ধরে তাঁরা অসুস্থও ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছিল মা এবং তার ছেলে দুজনে মানসিক অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছিলেন। রাসমণির পর সুরজের মৃত্যুর খবর আসায় প্রতিবেশীরাও মুষড়ে পড়েছেন। রবিবার দিন হঠাৎ করে বালিটিকুরির জেলেপাড়ায় ওই বাড়ির আশেপাশে পচা গন্ধ বেরতে থাকে। ওই বাড়ির চারদিকে অনেক মাছিও উড়তে দেখা যাচ্ছিল কয়েকদিন ধরে। এদিকে বাড়ির দরজা-জানলাও ভিতর থেকে বন্ধ ছিল।
মা ও ছেলেকে গত ১৫ দিন ধরে দেখা যায়নি বলেও জানিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ দাসনগর থানার পুলিশ ওই বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। একতলার ঘরে খাটের উপর মরে পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই মহিলাকে। শরীরের একাধিক জায়গায় পচন ধরেছিল। চার-পাঁচদিন আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। এরপর দোতলার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় অসুস্থ ছেলেকে। তাঁদের আত্মীয়দেরও খবর দেওয়া হয়েছিল। সুরজ কোনও কাজকর্ম করতেন না। মাঝেমধ্যে বাজার, দোকান করতে বাইরে বেরতেন। মা-ছেলে সেভাবে কারও সঙ্গে মেলামেশা করতেন না বলে জানান প্রতিবেশীরা।