আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,৮ ডিসেম্বর: আমরা সাধারণত জানি স্কুলের পরীক্ষায় সাধারণত দু থেকে তিনটে শিক্ষক বা শিক্ষিকা বাচ্চাদের পরীক্ষার সময় গার্ড দেয়। তবে এ তো অন্যরকম দৃশ্য, স্কুলে মাত্র একজন শিক্ষক! তাও আবার কেউ স্থায়ী শিক্ষক নন। তাই স্কুলের পরীক্ষার সময় গার্ড দিচ্ছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। এমন অবাক করা ঘটনা ঘটতে দেখা গেল বহরমপুরের শ্রীপুর জুনিয়র হাই স্কুলে।
শ্রীরামপুর জুনিয়র হাই স্কুল ২০১০ সালে চালু করা হয়।। তখন ওই স্কুলের তিনজন স্থায়ী এবং দুজন অতিথি শিক্ষক ছিলেন। ওই তিনজন স্থায়ী শিক্ষকের গত তিন বছর অন্যত্র বদলি হয়ে যায়। দুজন অতিথি শিক্ষক এর মধ্যে একজন শিক্ষক অবসর নিয়েছেন। তাই তারা অপারগ হয়ে এখন একাই স্কুল চালাচ্ছেন। শ্রীরামপুর স্কুলে এখন চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভাবে তারা বাধ্য হচ্ছে স্বয়ম্বর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে গার্ড দেওয়াতে। এ বিষয়ে স্কুলের একমাত্র অতিথি শিক্ষক বদরুল ইসলাম জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে ৭৫ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। কিন্তু তিনি ছাড়া অন্য কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা নেই।
স্কুলের ওই পরিস্থিতি দেখে অবসরপ্রাপ্ত অতিথি শিক্ষক সালাম শেখও মাঝেমধ্যেই বিদ্যালয়ে যান। পরীক্ষা চলাকালীনও তিনি মাঝেমধ্যে স্কুলে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে সালাম শেখ জানান, তিনি এখন অবৈতনিক শিক্ষক। পড়ুয়াদের অসুবিধার কথা ভেবে বাড়ি থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে মাঝেমাঝেই ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পঠন-পাঠনে সাহায্য করেন। একজনের পক্ষে স্কুল চালানো খুবই কষ্টের।
চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের দুটি ঘরে বসিয়ে পড়াশোনা করানো হয়। যা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হয়। পরীক্ষা চলাকালীন স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের গার্ড দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অবিলম্বে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের দাবি তুলেছেন গ্রামের মানুষ।