আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 18 ডিসেম্বর: সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেল থেকে শত শত বন্দি পালানোর ঘটনা, নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে। এর মধ্যে অন্তত ৭০ জন কুখ্যাত জঙ্গি রয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও গুরুতর করে তুলেছে। কলকাতায় ভুয়ো পাসপোর্ট এবং আধার কার্ডসহ ধরা পড়েছে বাংলাদেশি নাগরিক সেলিম মাতব্বর, যা প্রমাণ করছে কী ভাবে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে তাদের উপস্থিতি সুসংহত করছে।
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের ৩৭৫ কিলোমিটার কাঁটাতারহীন সীমান্তের অবস্থান নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদী, বনজঙ্গল এবং বিভিন্ন ভূখণ্ডের কারণে এই সীমান্ত সহজেই অতিক্রমযোগ্য। অতীতে এরকম অনুপ্রবেশের ফলাফল দেখা গেছে ২০১৪ সালের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে, যেখানে বাংলাদেশি জঙ্গিদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের সন্ধান পেয়েছিল ভারতীয় গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, পালিয়ে আসা বন্দিদের একটি বড় অংশ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়তে পারে, এবং তাদের উপস্থিতি ভবিষ্যতে বিপজ্জনক হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং ত্রিপুরার মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বর্তমানে এই ঘটনার ওপর বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে টহলদারি বাড়ানো হয়েছে এবং ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহারের মাধ্যমে যারা ভারতে প্রবেশ করেছে, তাদের খুঁজে বের করার কাজ চলছে।
তবে এই ঘটনার জেরে, স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে যে, ‘সীমান্ত সুরক্ষা কি যথেষ্ট?’ এই ধরনের অনুপ্রবেশ রোধে কি আরও উন্নত প্রযুক্তি এবং কৌশল ব্যবহার করা উচিত? কারণ বাংলাদেশি জঙ্গিদের পুনরায় ভারতে নেটওয়ার্ক তৈরির শঙ্কা নতুন বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন। সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো এবং তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করাই সময়ের দাবি। মনে করা হচ্ছে, গোয়েন্দা বিভাগের তৎপরতা এবং জনগণের সতর্কতা ভবিষ্যতের বিপদ এড়াতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।