আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,২৭ ডিসেম্বর: আমরা সাধারণত কলেজে সেমিস্টার সিস্টেম দেখে এসেছি। তবে এবার থেকে নাকি নতুন বছরে নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে। বছরে একবার নয়, এবার থেকে এক ক্লাসে দুবার পরীক্ষা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে এক বড়সড রদবদল হতে চলেছে। এখন থেকে ছোটদেরকে সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি করা হবে, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। তিনি শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হচ্ছে নতুন পদ্ধতি।
প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পুরো পরীক্ষা হবে সেমিস্টার নিয়মে। শিক্ষা পর্ষদ থেকে ঘোষণা করে, প্রতি ক্লাসেই দুবার করে পরীক্ষা হবে আর জুন মাস থেকেই চালু হবে প্রথম পরীক্ষা।
পরীক্ষার সিলেবাসের কাঠামো গুলো পরিবর্তন করা হচ্ছে। একটা শিক্ষাবর্ষকে দুটো ভাগে ভাগ করা হচ্ছে, জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত একটি ও জুলাই থেকে ডিসেম্বর পরবর্তী ভাগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানান গৌতম পাল।
কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক জাতীয় শিক্ষা নীতির ওপর ভিত্তি করে এনসিইআরটি তৈরি করেছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের জানান, ২০০৯ রাইট টু এডুকেশন আইন অনুসারে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ‘নো ডিটেনশন’ পলিসি আছে। প্রাক প্রাথমিকে ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্কে আনা হবে না। প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে গোটা শিক্ষাবর্ষে ৮০০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত করতে হবে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে গোটা শিক্ষাবর্ষে ১০০০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত করতে হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে সিঙ্গল সেমিস্টারে ৩৭৬ ঘণ্টা করে ও তৃতীয় থেকে পঞ্চম সিঙ্গল সেমিস্টারে ৪৬০ ঘণ্টা কাটাতে হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে ৬০ ঘণ্টার।
একটা পেপারেই গোটা পশ্চিমবঙ্গের পরীক্ষা হবে। পর্ষদের ঠিক করে দেওয়া প্রশ্নপত্রে হবে পরীক্ষা। মার্কশিটে মার্কসের সঙ্গে ক্রেডিট পয়েন্ট দেওয়া হবে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যখন প্রতিযোগিতায় যাবে, তখন এই ক্রেডিট পয়েন্ট গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলেও জানিয়েছে পর্ষদ।
