আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 22 জানুয়ারি: আরজি কর কাণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয় রায়ের শাস্তি নিয়ে রাজ্য সরকারের চ্যালেঞ্জ এবং CBI-এর আপত্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে চলছে উত্তপ্ত বিতর্ক। নিম্ন আদালতের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে রাজ্য সরকার যেখানে দোষীর ফাঁসির দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, সেখানেই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মনে করছে যে, মামলার নিষ্পত্তির আগে নির্যাতিতার পরিবারের মতামত এবং সঞ্জয় রায়ের বক্তব্য শোনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, নির্যাতিতার পরিবার যদি আদালতের সামনে আসে, তবে তাদের বক্তব্যকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। পাশাপাশি, সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয়ের আইনজীবীও তার বক্তব্য রাখার অনুমতি চাইলে আদালত তা বিবেচনা করবে।
সোমবার শিয়ালদহ আদালত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেছিল। বিচারক অনির্বাণ দাস জানিয়েছিলেন, এই ঘটনা ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ হিসেবে বিবেচিত নয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। এরপরই রাজ্য হাইকোর্টে নিম্ন আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে।
এদিন মামলার শুনানিতে CBI-এর পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়, কেন রাজ্য সরকার নিজে থেকে এই আবেদন করেছে। আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের অধীন হলেও নির্যাতিতার পরিবার বা সাজাপ্রাপ্ত দোষী যদি সরাসরি আবেদন না করেন, তবে রাজ্যের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় বলে দাবি করেন CBI-এর ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল রাজদীপ মজুমদার। তবে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং পাবলিক প্রসিকিউটর দেবাশিস রায় এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন।
সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এর মধ্যে যদি নির্যাতিতার পরিবার আদালতের সামনে উপস্থিত হয়, তবে আদালত তাদের বক্তব্য আগে শুনবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। অন্যদিকে, সঞ্জয়ের আইনজীবীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সঠিক নথি জমা দেওয়ার। ফলে রাজ্যের চ্যালেঞ্জ এখনই নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিষয়টি আপাতত ঝুলেই রইল।