আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 26 ডিসেম্বর: আয়ের আরেকটি বিকল্প পেতে চলেছেন বিহারের মাছ চাষিরা। বিহারের ভাগলপুরের সানহৌলায় মাছ থেকে তেল তৈরির প্রস্তুতি চলছে। সানহৌলায় শুকনো মাছ রোলিং মিলের মধ্যে রেখে তেল তোলা হবে। ভাগলপুরে উৎপাদিত এই তেলে কী পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে তা জানতে নমুনা পাঠানো হয়েছে কোচিতে অবস্থিত সেন্ট্রাল মেরিন ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ল্যাবে। এছাড়া, কিষাণগঞ্জ কলেজ অব ফিশারিজের ল্যাবেও এই নিয়ে গবেষণা চলছে। উভয় স্থান থেকে নমুনা রিপোর্ট আগামী এক মাসের মধ্যে মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এই মাছের তেলে ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি মাছের তেল হার্টের সুরক্ষাও দেয়। আয়ুর্বেদের পাশাপাশি এটি এলোপ্যাথিক ওষুধেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। বিহারে এর উৎপাদন ওষুধ তৈরিতে সর্বোচ্চ খরচের দিকে নিয়ে যাবে। ভাগলপুর জেলা মৎস্য আধিকারিক কৃষ্ণ কানহাইয়া স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মাছের তেলের নমুনার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। রিপোর্ট আসার পরে, এই প্রযুক্তি বিহারের সমস্ত জেলায় ভাগ করা হবে। যাতে বিহার মাছের তেল উৎপাদনে সাফল্য অর্জন করতে পারে।
সানহৌলার মাদারপুর পঞ্চায়েতের আদলপুর গ্রামের এক বাসিন্দা এই প্রসঙ্গে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা থেকে প্রাপ্ত পরিমাণ মাছের খাবার তৈরি করার সময়, আমি দেখলাম যে তৈলাক্ত পদার্থ বের হচ্ছে। আসলে শুঁটকি থেকে ফিশ ফিড তৈরি করা হয়। তাই আমি সরিষার মতো রোলিং মিলে শুকনো মাছ গুঁড়ো করার চিন্তাভাবনা করে তেল তোলা শুরু করলাম। মাছের চামড়া শুকিয়ে তার গুঁড়ো বের করা হয়। যা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যদিও, তেলে উপস্থিত রাসায়নিক উপাদান সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই তেলের ওই নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর বড় পরিসরে এর উৎপাদন শুরু করা হবে।”