মহাকুম্ভে আচমকা ফাঁকা হচ্ছে প্রয়াগরাজ! নাগা সন্ন্যাসীদের প্রস্থান রহস্য

আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 7 ফেব্রুয়ারি: প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের মেলায় সাধু-সন্ন্যাসীদের উপস্থিতি বরাবরই কুম্ভের অন্যতম আকর্ষণ। দেশের নানা প্রান্তের আখড়া থেকে আসা এই নাগা সাধু ও সন্ন্যাসীরা তাঁদের আধ্যাত্মিক উপস্থিতি এবং জীবনদর্শন দিয়ে মেলাকে পূর্ণতা দেন। তবে এবার এক অদ্ভুত ঘটনা নজর কাড়ছে সবার। শিবরাত্রি পর্যন্ত চলবে মহাকুম্ভ, অথচ ইতিমধ্যেই একের পর এক নাগা সন্ন্যাসী কুম্ভ প্রাঙ্গণ ছেড়ে নিজ নিজ আখড়ায় ফিরে যাচ্ছেন।

বিশ্বাস অনুযায়ী, মহাকুম্ভে অমৃত স্নানের মাধ্যমে এক হাজার অশ্বমেধ যজ্ঞের পুণ্য লাভ হয়। এই বিশেষ স্নানের আকর্ষণেই কুম্ভে সাধু-সন্ন্যাসীদের ভিড় লক্ষ করা যায়। কিন্তু অমৃত স্নান শেষ হওয়ার পর, সাধু-সন্ন্যাসীরা তাঁদের ধর্মীয় দায়িত্বপালনের জন্য নিজেদের আখড়ায় ফিরে যান। বসন্ত পঞ্চমীর দিন তৃতীয় ও শেষ অমৃত স্নান শেষ হওয়ার পর থেকেই এই প্রস্থান শুরু হয়েছে।

মহাকুম্ভ শুধুই স্নানমেলা নয়, এটি ধর্মীয় আলোচনার একটি বড় ক্ষেত্র। এখানে সাধুরা স্নানের পর ধ্যান করেন এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞান বিনিময় করেন। তবে অমৃত স্নানের গুরুত্ব শেষ হয়ে গেলে, তাঁদের আখড়ায় ফিরে যাওয়া প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। কারণ আখড়ার নিজস্ব ধর্মীয় কার্যক্রমেও তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

নাগা সন্ন্যাসীরা মহাকুম্ভের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। তাঁদের কঠোর তপস্যা, দিগম্বর রূপ এবং আধ্যাত্মিক শক্তি সাধারণ মানুষের কাছে কৌতূহলের বিষয়। কুম্ভের স্নান ছাড়াও এই সাধুরা তাঁদের জীবনদর্শন এবং ধর্মীয় উপদেশ দিয়ে মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিকতার বীজ বপন করেন।

যদিও মহাকুম্ভ চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ শিবরাত্রি পর্যন্ত। তাই নাগা সন্ন্যাসীদের প্রস্থান কুম্ভের ধারাবাহিকতায় কোনো প্রকার ব্যাঘাত ঘটাবে না। কারণ কুম্ভ মেলা শুধুমাত্র সাধু-সন্ন্যাসীদের জন্য নয়, এটি সাধারণ মানুষের জন্য একটি আধ্যাত্মিক মিলনক্ষেত্র। নাগা সন্ন্যাসীদের প্রস্থান মহাকুম্ভের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ারই অংশ। অমৃত স্নান এবং আধ্যাত্মিক আলোচনার পর, তাঁরা ফিরে যান তাঁদের নিজ নিজ আখড়ায় নতুন দায়িত্বপালনের জন্য। তবে তাঁদের অনুপস্থিতিতেও মহাকুম্ভের পবিত্রতা এবং আকর্ষণ অপরিবর্তিত থাকে।