তিন শিক্ষককের কান্ডে উত্তপ্ত পূর্বস্থলী, পড়াশোনা নামে চলছে শ্রীলতাহানি!

আজ এখন,দেবপ্রিয়া কর্মকার,২১ মার্চ: ছাত্রীদের রাতের বেলায় পাঠানো হতো অশ্লীল মেসেজ, তবে কি পড়ানোর নামে শ্লীলতহানি ঘটছে? তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক ছাত্রীকে বিয়ে করার বার্তা সারা বিদ্যালয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে পূর্বস্থলীর কাষ্ঠশালী নিভাননী উচ্চ বিদ্যালয়ের। গতকাল স্কুল ছুটির সময় কয়েকজন অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা এই বিক্ষোভের প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে চলে স্লোগানিং। এই ঘটনার খবর পেয়ে পূর্বস্থলী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে পৌঁছায়।

অভিভাবকরা জানান, ওই বিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষক, তারা স্কুলের ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে উত্তপ্ত করেন। সত্যজিৎ চৌধুরীর নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি রাতে ছাত্রীদের অশ্লীল মেসেজ পাঠান। শিক্ষক আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করেছেন তিনি।

বিজয় সর্দার নামে আরও এক শিক্ষক, তিনি একটি ছাত্রীকে ভালোবাসেন ও তাকে বিয়েও করবেন, এমন কথা বাজারে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এই অভিযোগগুলি সামনে আসতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর। তিন শিক্ষকের পাশাপাশি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন অভিভাবকরা।

এক অভিভাবক বলেন, “আলমগীর স্যর আমার মেয়েকে রাতে অশ্লীল মেসেজ করে। স্কুলের শিক্ষকরা বাবা-মায়ের সমান। তারা এই রকম করছে? অভিযুক্তের শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।” বিজয় সরদার স্যারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তিনি বলেন, “পড়ুয়াদের লেখা অভিযোগপত্রে আমার নাম রয়েছে। এক দাদার থেকে শুনে অভিযোগ তুলেছে, আমি না কি ওকে ভালোবাসি। কিন্তু আমি কোনও ভাবেই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত নই। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা ছাত্রীকে বলেছি আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ তার কাছে। ও না বলেছে। আমি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই।” বাকি অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক নিরঞ্জন মণ্ডল জানান স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের তরফে একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগটি পূর্বস্থলী থানা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। তারাই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলেন, ” গতকাল আমার কাছে এই সংক্রান্ত অভিযোগ আসে। তা শুনে খুব মর্মাহত হয়েছি। বিষয়টি স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি ও আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তারা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।” কালনা মহকুমা সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক কৌশিক ঘোষ জানান, “ এই ঘটনা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি।”