আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 23 জানুয়ারি: আরজি কর মামলার নাম শুনলে এখনও শিহরিত হয় মানুষ। মৃত্যু, ষড়যন্ত্র আর লোভের এক ভয়ানক কাহিনি। আর এই কাহিনির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সঞ্জয় রায় এখন আদালতের রায়ে আজীবন কারাগারে বন্দি। তবু প্রশ্ন রয়ে যায়—’সঞ্জয় কি সত্যিই অপরাধী, নাকি অপরাধীদের আড়াল করতে তাকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে?’
আরজি কর মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে নিম্ন আদালত। সিবিআই ফাঁসির দাবি জানালেও বিচারকের মন্তব্য ছিল, ‘ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়।’ তবে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে রায় নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, সঞ্জয়কে ফাঁসানো হয়েছে। তার জবানবন্দি থেকেই হয়তো আসল অপরাধীদের চিহ্নিত করা সম্ভব।
এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইনজীবী যশ জালান। তাঁর দাবি, “সঞ্জয়কে একপ্রকার চুপ করিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। যদি তার মুখ খোলার সুযোগ দেওয়া হয়, তবে সত্য প্রকাশ পাবে। সঞ্জয়কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে টার্গেট বানানো হয়েছে।” তবে সঞ্জয়ের সঙ্গে দেখা করতে জেল কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। এদিকে, রাজ্য সরকার সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টে আপিল করেছে।
আইনজীবীদের মতে, ‘সঞ্জয়ই জানেন আসল সত্য।’ মৃত্যুদণ্ড বিরোধী এনজিও-র সহায়তায় মামলাটি লড়া হবে। ‘সঞ্জয় আদতে দোষী না বলির পাঁঠা?’ এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হাইকোর্টের পরবর্তী সিদ্ধান্ত এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন জনগনের একাংশ।