আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয় কর্মকার,১ মার্চ: যারা রোজকার বাস যাত্রী, তাদের জন্য এই তিন দিন খুব সমস্যার ছিল, কারণ বহিষ্কৃত সেক্রেটারির দাদাগিরির জেরে ৪৬ নম্বর রুটের প্রায় সমস্ত বাস তিনদিন ধরে বন্ধ ছিল। এই ঘটনার জেরে বাগুইআটি, কেষ্টপুর, চিনারপার্ক-সহ এলাকার মানুষজন দুর্ভোগের মুখে পড়েছিল। সেই সমস্যা সমাধান করতে গতকাল রাজ্যে পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর হস্তক্ষেপে এই জটিলতা কাটে। আজ থেকে অর্থাৎ শনিবার সমস্ত পরিষেবা স্বাভাবিক হবে। গতকাল অনেক রাত পর্যন্ত বাসের মালিক সংগঠন ও চালকদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের সূত্র বের হয় এক বৈঠকে। তবে বাস মালিকদের একাংশের অভিযোগ ছিল, প্রাক্তন রুট সম্পাদক হীরালাল কেওর কিছু শ্রমিককে নিয়ে অবৈধভাবে ওই রুট পরিচালনা করতে চান। গত চার-পাঁচ মাস ধরে তিনি নানাভাবে মালিকদের উপর চাপ সৃষ্টি করে টাকা আদায় এবং মারধরের হুমকি দিয়ে আসছেন।
হীরালাল ও তার দলবল গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বাস বাস ড্রাইভারদের ভয় দেখিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। তারপর থেকেই ওই রুটে আর একটিও গাড়ি ওঠেনি। অভিযোগ এসেছে, ওই নেতা পুজোর বোনসে অনেক টাকার নয়ছয় করেছে। এইসব কারণে গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ৪৬, ৪৬এ এবং ৪৬বি রুটের ৬৩টি বাসের একটিও রাস্তায় নামেনি। যারা প্রতিনিয়ত কাজে যাচ্ছে, তারা রোজি বাসস্ট্যান্ডে এসে ফিরে গিয়েছে। কেষ্টপুর, চিনার পার্ক, বিমানবন্দর থেকে বাগুইআটি, এবং কাঁকুড়গাছি হয়ে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত এই বাসগুলি যায়। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। তাঁরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কোনওভাবেই যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করাকে বরদাস্ত করবে না সরকার। শনিবার থেকে স্বাভাবিক হয়ে যাবে বাস রুটগুলোর পরিষেবা।”
বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সহ সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন, “সমস্যা আপাতত মিটেছে। শনিবার থেকে বাস পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।” বাস মালিকদের অভিযোগ, স্থানীয় আইএনটিটিইউসি নেতা হীরালাল কেউর গত ৪/৫ মাস ধরে বাস মালিকদের নামে কুৎসা রটাচ্ছিল, কর্মচারীদের মালিকদের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলছিল। বাস মালিকদের থেকে মাসে প্রায় ৪০ হাজার টাকা বেতন ও বাসের পিছনে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া থাকত সেখান থেকে মাসে প্রায় ২৫ হাজার টাকা নিত। সেগুলো বন্ধ করেছিল বাস মালিকরা তাই বিভিন্নভাবে বাস চালক ও কর্মচারীদের কাজ করতে বিরক্ত করছিল সিন্ডিকেট নেতা। এসবের জেরেই বাস বন্ধ হয়েছে তিনদিন ধরে।