আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,১৮ ডিসেম্বর: বিগত কয়েকদিন ধরে বিআর আম্বেদকর কে নিয়ে বিতর্কের মন্তব্য চলছে। রাজ্যসভা এখন অমিত শাহের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল রয়েছে। এবং কয়েক দিনের জন্য বিরোধী দলের অশান্তির জেরে উচ্চকক্ষের অধিবেশন স্থগিত রাখা হয়। কংগ্রেস সাংসদরা আজ সকাল থেকে কক্ষের বাইরে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। যদি বিজেপি তাদের দাবিতে রাজি নন। তবে বিজেপির দাবি যে, সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে কংগ্রেস।
এই তর্ক বিতর্ক মূলত ১৭ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়। রাজ্যসভার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিতর্ক চলাকালীন বলে, “এখন এক ফ্যাশন হয়েছে- আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর। এতবার যদি ভগবানের নাম নিত তব সাতজন্ম স্বর্গবাস হয়ে যেত।”তিনি আরও বলেন, “জহরলাল নেহরুর সঙ্গে আম্বেদকরের বহু মতপার্থক্য ছিল। তাই তিনি নেহরুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।”কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রশ্ন, “১০০ বার ওর (বিআর আম্বেদকর) নাম নিলেও কিন্তু ওঁকে নিয়ে আপনাদের কী আবেগ ছিল? তফসিলি জাতি বা তফসিলি উপজাতিদের প্রতি সরকারের আচরণ নিয়ে খুশি ছিলেন না আম্বেদকর।” শাহের ‘ফ্যাশন’ মন্তব্য ঘিরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন কংগ্রেস সাংসদেরা।
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “বিআর আম্বেদকরকে শাহের অপমান প্রমাণ করে দিয়েছে, বিজেপি এবং তাদের আদর্শগত ভিত্তি আরএসএস তেরঙা ও অশোক চক্রের বিরোধী।” এর পরই শাহের পদত্যাগ চেয়ে এদিন সকাল থেকে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভে শামিল হন কংগ্রেস সাংসদেরা। তাঁদের এই বিক্ষোভকে ‘সস্তার রাজনীতি’ বলে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজেজু। তিনি বলেন, “শাহ তাঁর বক্তব্যে আম্বেদকরকে প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন। কংগ্রেস তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশ কেটে প্রচার করছে। এত বছর ধরে কংগ্রেস তাঁকে (অম্বেডকর) ভারতরত্ন দেয়নি এবং সেই সঙ্গে তারা বাবা সাহেবকে অপমানও করেছে।”
