আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ২৫ জানুয়ারি: এবার নোদাখালীতে টার্গেট তৃণমূল কর্মী। প্রথমে ইংরেজবাজার, কালিয়াচকের তারপর নোদাখালি। অভিযোগ এসেছে, রাস্তার মধ্যে ওই তৃণমূল কর্মীকে গুলি করা হয়। এবং তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অতি সত্বর তাকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তৃণমূল কর্মীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই খবর।
এই সূত্রে জানা গেছে, ওই তৃণমূল কর্মীর নাম কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি নোদাখালি থানার ডোঙ্গারিয়ার এলাকার বাসিন্দা এবং তার সাথে ওই এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলেও পরিচিত। আজ সকালে তিনজন যুবক বাইকে চড়ে আসে। তাকে দেখামাত্রই একের পর এক ক্রমাগত গুলি চালাতে শুরু করে বাইক দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ওইখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা গুলির শব্দে ছুটে আসে। সেই মুহূর্তে ওই দুষ্কৃতীরা পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রাই রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে। তাঁকে প্রথমে মুচিশা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তৃণমূল কর্মীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বাইকে চড়ে আসা দুষ্কৃতীদের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। তার উপর আবার মাথায় ছিল হেলমেট। তাই তাদের চিনতে পারেননি কেউ। কী কারণে দুষ্কৃতীরা ওই তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা নাকি এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক কোনও অভিসন্ধি রয়েছে, তা-ও পরিষ্কার নয়। নোদাখালি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, দিনেদুপুরে এমন শুটআউটের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে গুলির আগে কেউ তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন, ঘটনাস্থলে তৃণমূল কর্মীকে কেউ ডেকে পাঠিয়েছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।