আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 29 জানুয়ারি: রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হতে চলেছে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি। এবারের অধিবেশন বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে কারণ এটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের বাজেট পেশ করবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই প্রেক্ষিতে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র বড়সড় ঘোষণা নিয়ে প্রত্যাশা বেড়েছে।
প্রশাসনিক মহলের খবর অনুযায়ী, বিধানসভা নির্বাচনের আগে সরকার একাধিক নতুন প্রকল্প ঘোষণা করতে পারে। পাশাপাশি, ‘রূপশ্রী’, ‘কন্যাশ্রী’, এবং ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর মতো প্রকল্পে অতিরিক্ত বরাদ্দের সম্ভাবনাও রয়েছে। এই সম্ভাবনার সূত্র ধরেই সরকারি কর্মীরা আশা করছেন, তাঁদের ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবেন।
বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন, যা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ৫৩ শতাংশ হারের তুলনায় যথেষ্ট কম। এই ফারাক বিরোধীদের সমালোচনার সুযোগ করে দিয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে, কেন্দ্র এবং রাজ্যের কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে।
অর্থ দফতর সূত্রের খবর, ৪-৬ শতাংশের মধ্যে ডিএ বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাজেট ঘোষণার মুহূর্তেই প্রকাশ করা হতে পারে। গত বছরের বাজেটে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রীর একটি চিরকুট পেয়ে ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছিলেন। একইভাবে, বড়দিনের উৎসবের সময় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন।
তৃণমূলপন্থী সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়ক মন্তব্য করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় সরকারি কর্মচারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের ন্যায্য পাওনা বঞ্চিত করছে বলেও তিনি অভিযোগ তুলেছেন। কেন্দ্র থেকে বকেয়া আদায়ের জন্য আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তিনি।
সব মিলিয়ে, আসন্ন বাজেটে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা এবং নতুন প্রকল্পগুলির রূপায়ণ নিয়ে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। ২০২৬ সালের নির্বাচন সামনে রেখে এই বাজেট রাজ্যের ভবিষ্যৎ রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।