আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 10 জানুয়ারি: পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এবার আরও কঠোর উদ্যোগ নিচ্ছে। পর্ষদের বিশেষ নজরে রয়েছে মালদা জেলা, যেখানকার পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব এবং প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনাগুলি উদ্বেগ বাড়িয়েছে। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সম্প্রতি তিন দিনের মালদা সফরে গিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “মালদাকে সেনসিটিভ জোন হিসেবে চিহ্নিত করে বিভিন্ন সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।” গত বছর গোটা রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৫ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল, যার মধ্যে ৪২ জনই মালদার।
পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, টেস্ট পেপারের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। টেস্ট পেপারের আলাদা পাতায় সতর্কতামূলক পোস্টার ছাপা হয়েছে। পাশাপাশি, পোস্টারিং এবং প্রচার চালিয়ে পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত কয়েক বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুতেই প্রশ্ন ফাঁসের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। পর্ষদ এই সমস্যার সমাধানে নাম্বারিং, কিউআর কোড, এবং পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষকদের মোবাইল নিষিদ্ধ করার মতো পদক্ষেপ নিয়েছিল। তবুও মালদায় এই ঘটনা বারবার ঘটায়, এলাকাটি নিয়ে পর্ষদ নতুন করে ভাবতে বাধ্য হয়েছে।
পর্ষদ মনে করছে, পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারগুলোর মধ্যেও সচেতনতার অভাব রয়েছে। তাই শুধু পরীক্ষার্থীদের নয়, তাঁদের পরিবারকেও সচেতন করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মালদার পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির আশপাশে ১৬৩ ধারা জারি করা হবে। প্রয়োজনে পরীক্ষার সময় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।
পর্ষদ সভাপতির মতে, প্রশ্ন ফাঁসের পেছনে শুধুই সচেতনতার অভাব নয়, বরং কোনো চক্র কাজ করছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই চক্র ভাঙতে এবং ভবিষ্যতে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা রোধে মালদা জেলায় আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।