স্যালাইন কাণ্ডের জেরে সাসপেনশন, প্রতিবাদে মেদিনীপুর মেডিক্যালে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি

আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 17 জানুয়ারি: স্যালাইন কাণ্ডে দায়ী চিকিৎসকদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে গিয়েছেন। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতি চলবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত। যদিও জরুরি বিভাগ এবং ওপিডি পরিষেবা সচল রয়েছে, তবে অন্যান্য পরিষেবা বন্ধ থাকায় রোগীদের ভোগান্তি শুরু হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে স্যালাইন কাণ্ডকে ঘিরে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। ৮ জানুয়ারি রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঁচ প্রসূতির সি-সেকশনের পর বিষাক্ত স্যালাইনের অভিযোগে মৃত্যু হয় এক প্রসূতি এবং এক সদ্যোজাতের। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায় চাপান চিকিৎসকদের ওপর। তিনি বলেন, “চিকিৎসকরা আরও সতর্ক হলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।” এর পরই হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত রাউত, আরএমও-সহ ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়।

সাসপেনশনের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার রাতেই প্রতিবাদে সরব হন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তাররা। শুক্রবার সকাল থেকে কর্মবিরতির ডাক দেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, সাসপেনশন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

এর আগে আর জি কর মেডিক্যালেও এমন কর্মবিরতির জেরে রোগীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছিল। অনেকে চিকিৎসার অভাবে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। এবারও মেদিনীপুর মেডিক্যালের আন্দোলনে রোগীদের জন্য অনিশ্চয়তার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, স্যালাইন কাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যালের প্রসূতি ওয়ার্ড। সি-সেকশনের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন পাঁচ প্রসূতি। মৃত্যু হয় মামণি রুইদাস নামে এক প্রসূতির। তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে বাড়ি পাঠানো হলেও পরে তাকে ফের ভর্তি করতে হয়। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন প্রসূতির অবস্থা উদ্বেগজনক।