দশম শ্রেণির নাবালকের পিস্তল তৈরীর প্রশিক্ষণ! বাড়িতে মিলল ওই পড়ুয়ার অস্ত্রের ভাণ্ডার

আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,১০ ফেব্রুয়ারি: বাড়ি থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে দেশি পিস্তল তৈরি করার প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। এবং ওই নাবালক বাড়িতে নিজেই তৈরি করেছে অস্ত্রের কারখানা। ছেলেটি তার পড়াশোনার ফাঁকে রমরমে অস্ত্রপাচার ব্যবসা চালাতো। বেআইনি পথে প্রায় এক বছর ধরে ওই কারবার চালানোর পর শেষমেষ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় দশম শ্রেণীর পড়ুয়া। পুলিশ ওই নাবালকের বাড়িতে তল্লাশি চালালে অস্ত্রের ভান্ডার চোখে পড়ে। এই ঘটনা ঘটেছে পাঞ্জাবের জলন্ধরের কোট মহল্লা এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে দাবি, জলন্ধর পুলিশ বেশ কয়েকদিন আগেই আন্দাজ করেছে যে এলাকার কোথাও অস্ত্রের কারখানা গজিয়ে উঠেছে। বেশ অনেক অপরাধীর কাছে বাজেয়াপ্ত হয় দেশি আগ্নেয়াস্ত্র। তারপর প্রশাসন ওই অস্ত্র পাচারের খোঁজ করতে কোমর বেঁধে নামে। পুলিশ রীতিমত জাল বিছিয়ে শেষ পর্যন্ত ওই পড়ুয়ার নাগাল পায়। তার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় উদ্ধার হয় ১০টি দেশি পিস্তল, লোহা কাটা মেশিন, ড্রিল মেশিন-সহ পিস্তল বানানোর আরও বহু সামগ্রী। এছাড়া নম্বর প্লেট বিহীন একটি স্কুটারও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, অস্ত্রের চালান দিতে এই গাড়িটি ব্যবহার করা হত।

পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই অভিযুক্তের কাছ থেকে জানতে পায়, অনলাইনে পিস্তল তৈরির ট্রেনিং নিয়েছিল সে। এরপর ১১ মাস আগে নিজের বাড়িতেই খুলে ফেলে অস্ত্র কারখানা। দশম শ্রেণির পড়ুয়ার এহেন কাণ্ড দেখে স্বাভাবিকভাবেই হতবাক পুলিশ কর্তারা। যদিও অস্ত্র তৈরি করলেই তো হল না তা বিক্রির জন্য লাগে বিশেষ সোর্স। এই নাবালক একাই সেই কাজ চালাতে পারে না বলে মনে করছে পুলিশ।

পুলিশের অনুমান, এই পিছনে কোনও বড় চক্র থাকতে পারে। সেই বড় মাথারাই এই নাবালককে দিয়ে এই কাণ্ড করাতো। আপাতত অভিযুক্ত ওই পড়ুয়াকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এই অস্ত্র কারবারে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে।