বেহালার বাড়ির ফ্যানেতে একই দড়ির দু’প্রান্তে ঝুলে বাবা ও মেয়ের দেহ!

আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,১ মার্চ: এদিন বেহালার শকুন্তলা পার্কে ট্যাংরায় একটি ভয়ানক কান্ড ঘটে গেছে। বাড়ি থেকে বেশ অনেকটা দূর থেকে বাবা ও মেয়ে থাকতেন। আর সেই বাড়িতে একই পাখার দড়িতে বাবা ও মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এবং দুজনের দেহ ঝুলতে দেখা যায়। ওই ভদ্রলোকের মেয়ে জন্ম থেকে অটিজমে আক্রান্ত। যার জেরে তার বাবাও মানসিক অবসাদে ভুগতেন। তবে মনে করা হচ্ছে, এই কারণে মেয়েকে খুন করে হয়তো নিজে আত্মঘাতী হতে পারেন। এই ঘটনা শোনা মাত্রই পুলিশের খবর দেওয়া হয়, আর পর্ণশ্রী থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। তবে পুলিশ তার নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছে।

মৃত মেয়েটির নাম সৃজা দাস ও তার বাবা স্বজন দাস। ওই তরুণীর বাবা পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন, আর স্বজনেড়ে বয়স তিপ্পান্ন বছর। তার মেয়ে সৃজার জন্ম থেকে অটিজমে আক্রান্ত। তাঁরা মহেশতলা থানার নুঙ্গির দীর্ঘদিনের বাসিন্দা ছিলেন। বেহালার শকুন্তলা পার্ক লাগোয়া হো-চি-মিন সরণিতে একটি অফিস রয়েছে স্বজনবাবুর। শুক্রবার মেয়েকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার নামে বাড়ি থেকে বেরয় বাবা ও মেয়ে। দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলে বাবা ও মেয়ের কোনও খোঁজখবর পাওয়া যায়নি।

সন্ধে সাতটা নাগাদ স্বজনের বন্ধুবান্ধবদের ফোন করতে শুরু করেন তাঁর স্ত্রী। তাঁরাও ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি। বেশ কয়েকজন শকুন্তলা পার্কের অফিসে পৌঁছন। তাঁরা গিয়ে দেখেন অফিসের ভিতরে আলো জ্বলছে। চলছে এসি। ডাকতে শুরু করেন। কিন্তু কারও রোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। বেশ কিছুক্ষণ পর দরজা ভেঙে অফিসের ভিতরে ঢোকেন সকলে। তাজ্জব হয়ে যান তাঁরা। দেখেন ফ্যানে একটি দড়ির দু’প্রান্তে ঝুলছেন বাবা ও মেয়ে। তড়িঘড়ি পর্ণশ্রী থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পুলিশ জোড়া মরদেহ উদ্ধার করে। দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। স্বামী ও সন্তানকে হারিয়ে চোখের জলে ভাসছেন স্বজনের স্ত্রী।