আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,৩১ ডিসেম্বর: বিগত চার মাস ধরে অভয়া কাণ্ডের নানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে আমাদের সামনে। এবার আরও একজন স্বাস্থ্য কর্মীকে ক্লিনচিট দিল তদন্ত কমিটি। স্বাস্থ্য ভবন সেই তথ্যের ভিত্তিতে তার কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল। তবে তার দিকে কড়া ভাবে নজরদারি দেওয়া হবে। অভিযুক্ত কর্মীকে অপরাধের দিন সেমিনার হলে দেখা গিয়েছিল।
ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে এই তিলোত্তমা কাণ্ডে তাঁর জড়িয়েছিল। তাকে নাকি মেডিকেল কলেজের ডিউটির সময় তাকে ওই অপরাধস্থলে দেখা গিয়েছিল। ক্রাইমসিনের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সেখানে প্রসূন চট্টোপাধ্যায় দেখা মিলেছিল। এবং সূত্রের খবর অনুযায়ী তিনি নাকি সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ লোক ছিলেন।
জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে আর জি করের অধ্যক্ষ হিসেবে বদলি হওয়ার পর প্রসূনকেও সেখানে বদলি করা হয়। সেখানে একবছর কাজ করার পর আবার ন্যাশনাল মেডিক্য়াল ফিরে আসেন তিনি। তারপরেও নিয়মিত ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে তিনি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলে যেতেন বলে খবর। সেখানে সকলে তাঁকে সন্দীপ ঘোষের আপ্তসহায়ক হিসেবেই চিনত। ৯ আগস্ট তরুণী চিকিৎসক ধর্ষিতা এবং খুন হওমেডিক্যালয়ার দিনও একই কাণ্ড ঘটেছিল বলে অভিযোগ।
ইতিমধ্যেই সিবিআই একাধিকবার প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁর নরেন্দ্রপুরের বাড়িতেও হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্ত করছিল হাসপাতালের কমিটিও। পাঁচ মাস পর সেই কমিটি প্রসূনকে ক্লিনচিট দিল। ফলে নতুন বছরেই কাজে ফিরতে পারেন তিনি।
