আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ১১ ফেব্রুয়ারি: পুরুলিয়া থেকে এসেছিল মহাকুম্ভে পুণ্য স্নানের আশায়। তাদের এই মহাকুম্ভে আসাটাই বড় বিপদ হয়ে দাঁড়ালো। মর্মান্তিকভাবে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়, পুরুলিয়া থেকে আসা তিন পুণ্যার্থীর। তারা যখন বালিপুর এলাকায় ছিল তখন হাইওয়ের পেরানোর সময় মহাকুম্ভনগরে পৌঁছনোর ৪০ কিলোমিটার দূরে একটি লরি এসে তাঁদের পিষে দিয়ে গেল। যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা তিনজনেই মহিলা। জানা গেছে, তারা পুুরুলিয়ার টামনা থানা এলাকার গোপালডি গ্রামের বাসিন্দা। তাদের গোটা এলাকায় ওই পরিবারের তিন সদস্য এভাবে প্রাণ হারানোয় শোকের ছায়া ছড়িয়েছে। দুর্ঘটনায় ৩ জেলাবাসীর মৃত্যু নিয়ে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ”দুর্ঘটনার খবর পেয়েছি। সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
গত ৯ ফেব্রুয়ারি মহাকুম্ভে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিল পুরুলিয়ার টামনা থানা এলাকার চাকলতোড় মোড় থেকে টুর অপারেটরদের একটি বাসে প্রয়াগরাজের ৬০ জন। এদিন সকালে তাদের পূর্ণস্নানের কথা ছিল। ভোর বেলায় প্রয়াগরাজ পৌছে কুম্ভমেলা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে বাসটি দাঁড়ায়। বাসযাত্রীরা সেইখানেই শৌচালয় ব্যবহার করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন টামনা থানার তিন মহিলা – জাগরী মাহাতো, আলপনা মাহাতো ও কুন্তী মাহাতো। তাঁরা দ্রুত হাইওয়ে পেরিয়ে রাস্তারে ওপারে চলে যেতে চাইছিলেন। এমন সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রয়াগরাজ জেলার উত্তরাও থানা এলাকার হাইওয়েতে বেনারসের দিক থেকে আসছিল একটি লরি। তাতেই পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান তিনজন। কুন্তী মাহাতোর বয়স ৬৫ বছর, জাগরী ও আলপনা ৪৪ ও ৪৫ বছরের বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনা নিয়ে উত্তরাও থানার ওসি পঙ্কজ ত্রিপাঠী জানান, ”বালিপুরের কাছে হাইওয়েতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বেনারসের দিক থেকে একটি লরি এসে তিনজনকে পিষে দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। এখনও লরির সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তল্লাশি চলছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।” পুরুলিয়া থেকে যাওয়া পুণ্যার্থীরা জানাচ্ছেন, মহাকুম্ভে স্নানের পর অযোধ্যার রামমন্দির দেখে বেনারস ঘুরে তারপর ১৩ তারিখ ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে তিনজনের মৃত্যুতে ঘোরার আনন্দ শেষ।