আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,১৮ ফেব্রুয়ারি: মাকে অত্যাচার করে খুন করে ফেলেছে তার নিজের বাবা। তাদের চার বছরের এক শিশুর খুনের তদন্তে ছবি এঁকে পুলিশকে একথা বোঝাল। ওই বাচ্চা মেয়েটি ছবি আঁকার পাশাপাশি লিখেও জানাল—“বাবাই মাকে খুন করেছে”। মধ্যপ্রদেশের ঝাঁসির এই ঘটনায় পুলিশ ওই শিশুর আকার উপর নির্ভর করে পুরো তদন্তটি করেন এমনটাই জানা গেছে। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মৃত তরুণীর নাম ছিল সোনালী বুধোলিয়া। তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্বশুরবাড়ির তরফ থেকে জানানো হয়, সোনালী নাকি শারীরিক অসুস্থতার পরে আচমকা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর স্বামীর নাম সন্দীপ বুধোলিয়া। তিনি পেশায় ‘মেডিক্যাল রিপ্রেজ়েন্টিটিভ’। প্রাথমিকভাবে অস্বাভাবিকা মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। কিন্তু দম্পতির চার বছরের শিশু তদন্তকারীদের পথ দেখায়।
পুলিশকে খুদে জানায়, কীভাবে মাকে মাথায় ভারী পাথর দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে বাবা, এর পর গলায় দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। মাকে যে বাবা নিয়মিত অত্যাচার করত, সেকথাও তদন্তকারীদের জানিয়েছে শিশুটি। সে নিজের ছবি আঁকার খাতা তুলে দেয় পুলিশের হাতে। সেখানে তরুণীর উপর অত্যাচারের ছবি মিলেছে। শিশুর বয়ান এবং এই আঁকার খাতার জেরে অন্য দিকে মোড় নেয় তদন্ত। পুলিশ এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে।
মৃতার বাবার সঙ্গে কথা বলার পর খুনের কারণ স্পষ্ট হয়েছে পুলিশের কাছে। সোনালীর বাবা জানান, মেয়েকে বিয়ের সময় ২০ লক্ষ পণ দিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি গাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য চাপ দিত শুরু করে জামাই। যদিও এবারে তিনি জানান, গাড়ি কিনে দিতে পারবেন না। এর পরই তরুণীর উপর অত্যাচার শুরু করে যুবক। এমনকী সমস্যার সমাধানে দুপক্ষ পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেবার সমঝোতায় এসেছিল দুই পরিবার।