আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,১৫ ডিসেম্বর: হঠাৎ করে দিনহাটা গ্রামের ওকরাবাড়ির পর পুঁটিমারি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। আবাস যোজনা তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে ভাঙচুর আর অশান্তি। বিক্ষোভকারীরা তাদের পঞ্চায়েত অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। আর ওই অফিসে সারাদিন ধরে আটকে ছিল পঞ্চায়েত আধিকারিকরা। সেই নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি ওই এলাকায়।
কোচবিহারের দিনহাটা ওকরাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে শনিবার দিন আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। ১৫ই ডিসেম্বর পুটিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে সেই ঘটনারই প্রণবৃত্তি হল। প্রায় একই ঘটনা ঘটল পুঁটিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে। গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে আবাস যোজনা তালিকা অনুমোদন করার জন্য বৈঠক শুরু হয়েছিল। ওইখানকার পঞ্চায়েত উন্নয়নের আধিকারিক অরিজিৎ সরকার উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও ছিলেন। বৈঠকে তালিকা প্রকাশ করা হয়। অভিযোগ, এরপর বাসিন্দাদের একাংশ গোলমাল পাকাতে শুরু করেন। ক্রমে সেই ঝামেলা তুমুল আকার নেয়। চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। মুহূর্তে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। পঞ্চায়েত সদস্যরা ও পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিক এক সময় পালিয়ে পঞ্চায়েতের ভিতর আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা পঞ্চায়েত অফিসের দরজা তালা লাগিয়ে দেন। ভিতরে আটকে পড়েন আধিকারিকরা। বাইরে চলতে থাকে দেদার ভাঙচুর। দিনহাটা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ওই পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পঞ্চায়েত অফিসের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় আধিকারিকদের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে যে তালিকার খসড়া হয়েছিল, তাতে পাঁচশোর উপর নাম ছিল। কিন্তু এদিন যে তালিকা অনুমোদন করা হয়, তাতে সাড়ে তিনশো পরিবারের নাম রয়েছে। তালিকায় অসঙ্গতি রয়েছে বলে অভিযোগ তুলতে থাকেন তাঁরা। পঞ্চায়েত আধিকারিকদের পালটা অভিযোগ, যাঁদের তালিকায় নাম নেই, তাঁরাই এই ভাঙচুর ঘটিয়েছে। ব্লকের পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিক অরিজিৎ সরকার জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের দাবি জানানো হবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।