প্রেসার কুকারে সিটি মেরে সিদ্ধ স্ত্রীকে, মর্মান্তিক মৃত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্য

আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 23 জানুয়ারি: হায়দরাবাদের মীরপেট এলাকায় এক মহিলার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় পুলিশের তদন্তে উঠে এল রোমহর্ষক এক খুনের ঘটনা। অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন মহিলার স্বামী। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
৩৫ বছর বয়সি পুট্টাভেঙ্কট মাধবী ১৬ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। মাধবীর পরিবার তাঁর হদিস না পেয়ে মীরপেট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমেই তাঁর স্বামী গুরু মূর্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। প্রথমদিকে গুরু দাবি করেছিলেন, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর তিনি বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়দের কাছে চলে গেছেন। কিন্তু ক্রমাগত জেরা চলার পর পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে এবং অবশেষে গুরু মূর্তি স্বীকার করেন, তিনি নিজেই স্ত্রীর প্রাণ কেড়েছেন।

পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে গুরু মূর্তি জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে রাগের মাথায় তিনি তাঁকে খুন করেন। এরপর দেহ লোপাট করতে বাড়ির শৌচাগারে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে তা প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করেন। দেহাংশ থেকে হাড় আলাদা করে সেগুলো গুঁড়ো করে আবার সিদ্ধ করেন। তিনদিন ধরে এই ভয়াবহ কাজ চালিয়ে সব প্রমাণ প্যাকেটে ভরে একটি জলাশয়ে ফেলে দেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এখনও পর্যন্ত নিহত মাধবীর দেহাংশের কোনো খোঁজ মেলেনি। পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে এবং ডগ স্কোয়াডও কাজে নেমেছে। অভিযুক্তের দাবি এবং প্রমাণ মিলিয়ে দেখতে তৎপর তদন্তকারীরা। গুরু মূর্তি ও মাধবীর বিয়ে হয়েছিল ১৩ বছর আগে। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে, যারা ঘটনার দিন এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল। একসময় সেনাবাহিনীতে কাজ করা গুরু বর্তমানে একটি সংস্থায় নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে নিযুক্ত। এই প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, যতক্ষণ না দেহাংশের সন্ধান মিলছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই মামলা নিখোঁজ মামলার আওতায় থাকবে।