আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,৭ জানুয়ারি: নতুন বছরের শুরুতে সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারদের নিয়ম আরও বেশি কঠোর হচ্ছে। তাদের জানানো হয়েছে, টানা ৮ ঘন্টা হাসপাতালে কাজ আবশ্যকভাবে করতেই হবে। তাদের ওই ডিউটির টাইমে অর্থাৎ সকাল ন’টা থেকে বিকাল চারটে পর্যন্ত কোন ধরনের প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা যাবে না। সোমবার দিন সরকারি আদেশনামায় বলা হয়েছে, প্রাইভেট প্র্যাকটিসের জন্য শুধুমাত্র নন-প্র্যাকিটিসিং অ্যালাওয়েন্স না-নিলেই চলবে না, আজ থেকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট কালেক্ট করতে হবে সরকারি ডাক্তারদের। এবং তার সঙ্গে আরও এককাঠি ওপরের কড়াকড়ি করা হয়েছে— কর্মক্ষেত্রের ২০ কিলোমিটারের বাইরে বা উত্তরবঙ্গের হাসপাতালে চাকরি করে কলকাতা সংলগ্ন প্রাইভেট প্র্যাকটিস চলবে না।
স্বাস্থ্য দপ্তর আদেশমানায় জারি করেছে, চিকিৎসকরা তাদের ডিউটির বাইরে গিয়ে কোনো রকমের প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেনা। তাদেরকে বলা হয়েছে সপ্তাহের ছয় দিন এবং 42 ঘন্টা কাজ করতে হবে। কোন চিকিৎসক রাতে অন কল ডিউটিতে থাকলে তিনি পরের দিন ‘ডে অফ’ নিতে পারবেন না। একদিনে দুজন শিক্ষক চিকিৎসক ছুটি নিতে পারবে না। যথেচ্ছ প্রাইভেট প্র্যাকটিসে লাগাম টানতেই রস্টার বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এবং সোমবার আরো কড়া নির্দেশ এল।
এর ফলে কলকাতা থেকে দূরবর্তী জেলায় কর্মরত সরকারি চিকিৎসকদের অধিকাংশই নন–প্র্যাকটিসিং অ্যালাউয়্যান্স না–নিলেও কার্যত আর প্রাইভেটে রোগী দেখতে পারবেন না।
স্বাভাবিকভাবেই এনিয়ে বিরক্ত সরকারি ডাক্তারদের একটা বড় অংশই। এ বিষয়ে সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের সাধারণ সম্পাদক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ভাবেই আমাদের হাত–পা বেঁধে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা। যাঁরা আর জি কর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ।” স্বাস্থ্যভবনের একাধিক কর্তা অবশ্য জানাচ্ছেন, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু সরকারি ডাক্তার সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা ফাঁকি দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে বেশি সময় দিচ্ছেন। দূরের বেসরকারি পরিসরে পরিষেবা দিতে হলে সরকারি কাজের সময় কম হচ্ছে। রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে। সে জন্যই এই কড়াকড়ি।