রাজস্থানের নিয়ম দেখে প্রশংসা করলেন সুপ্রিম কোর্ট!

আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,১৮ ডিসেম্বর: আমাদের ভারতবর্ষে কন্যা সন্তানের হত্যার কথা নতুন নয়। সরকারি পরিসংখ্যা থেকে জানা গেছে, ২০০০-২০১৯ সালের মধ্যে বছরে কমপক্ষে ৯০ লক্ষ কন্যাভ্রূণের হত্যা করা হয়েছে। এমন অবস্থায় রাজস্থানের গ্রামের বাসিন্দারা একেবারে এক নতুন নজির গড়েছে। তারা মূলত, কন্যা সন্তানের জন্মের পর ১১১টি চারাগাছ পোঁতা হয়। আর এই ‘পিপলান্ত্রি মডেলে’র ভূয়সী প্রশংসা করল সুপ্রিম কোর্ট।

বনের সুরক্ষিত এলাকা যা পবিত্র বলে বিবেচিত হয় এবং ঐতিহ্যগতভাবে স্থানীয় সম্প্রদায়ের দ্বারা সুরক্ষিত- তাকেই এই নামে ডাকা হয়।বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এসভিএন ভাট্টি এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাজস্থানের ‘স্যাক্রেড গ্রোভ’ রক্ষার বিষয়টি নিয়ে। কী এই ‘স্যাক্রেড গ্রোভ’?  পরিবেশ রক্ষায় রাজ্যের বন দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত এলাকার উপগ্রহ মারফত নজরদারি চালিয়ে এই অঞ্চলগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য। আর সেই প্রসঙ্গেই শীর্ষ আদালতে উঠে আসে ‘পিপলান্ত্রি মডেলে’র প্রসঙ্গ। বিচারপতি সন্দীপ মেহতা বলেন, ”রাজস্থানের একটি জেলায় যে মডেলটি রয়েছে তা অনুপ্রেরণাদায়ক। প্রভূত খননের ফলে গ্রামটির পরিবেশ বিপণ্ণ হয়। আর তারপরই সেখান সরপঞ্চের দূরদৃষ্টির ফলে শুরু হয় প্রত্যেক কন্যাসন্তানের জন্মের পরই ১১১টি করে গাছ পোঁতার রীতি। এখনও পর্যন্ত ১৪ লক্ষ গাছ পোঁতা হয়েছে। এর মাধ্যমে কন্যাভ্রুণ হত্যার নিষেধাজ্ঞার ফলে লিঙ্গসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। আর তারই ফলশ্রুতি ওই গ্রামে মহিলার সংখ্যা অন্য লিঙ্গের মানুষদের থেকে বেশি।”

এদিকে এদিন বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন, ১৯৭২ অনুযায়ী রাজস্থান সরকারকে ‘স্যাক্রেড গ্রোভ’ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর তা নিশ্চিত করতে হাই কোর্টের নজরদারিতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গড়ার কথাও বলা হয়েছে।