আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,৮ ডিসেম্বর: আজকালকার দিনে অনেক চিকিৎসক রাই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আত্মপ্রচার করে চেম্বারে ভিড় বাড়াচ্ছেন। মেডিক্যাল কমিশনের নজরে পড়ায় এই সবকিছু বন্ধ করার উদ্যোগ নেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা নিজেদের কাজকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেখিয়ে আর প্রচার করতে পারবেন না।
ডাক্তার বাবুরা নাকি আজকাল রোগীদের পাশে বসে নিজেদের সুখ্যাতি করাচ্ছেন। এমন কিছুই ভিডিও আজকাল চোখে পড়ছে সারা নেট দুনিয়ায়। ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম মানুষ আজকাল এই সবই দেখে প্রভাবিত হয়ে চিকিৎসকদের চেম্বারে ভিড় বাড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাতে ভুল পথে না যায়, ভুল তথ্য না পায় বা বিভ্রান্ত না হয়, তার জন্যই ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন কড়া পদক্ষেপ তৈরি করল। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিয়ে ডাক্তারদের জন্য কমিশনের তরফ থেকে বেশ কিছু নির্দেশাবলি তৈরি করা হয়েছে।
১) কোনও ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করানোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন রোগী। ভিডিওতে ডাক্তারকে দেখা যাচ্ছে। এমন কনটেন্ট অনৈতিক বলে জানাল মেডিক্যাল কাউন্সিল।২) সোশাল মিডিয়ায় ফলোয়ার কিনে নিজের খ্যাতি বাড়ানো চলবে না। নিজেকে ‘অ্যাকটিভ’ প্রমাণে সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেল করতে এজেন্সি ব্যবহার করা চলবে না।৩) রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকরা কোনও পণ্য, ওষুধ বা ডাক্তারি পরিষেবা, রোগ শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞাপন করতে পারবেন না।৪) কোনও নির্দিষ্ট অপারেশন বা সিটি, পেট স্ক্যানের মতো টেস্টের প্রচার করাও নিষিদ্ধ।৫) সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে রোগীকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কোনও আর্জি জানানোকেও নিয়ম লঙ্ঘনের আওতায় ফেলা হবে।৬) সোশাল মিডিয়ায় চিকিৎসকদের ডাক্তারির এথিকস মেনে চলতে হবে। খ্যাতি অর্জনের লোভেকোনওরকম প্রতারণার চেষ্টা করা চলবে না।
অভিযোগ, বহু সাধারণ মানের চিকিৎসক সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে ‘সাজানো ’রোগীর মুখ দিয়ে নিজেদের সম্পর্কে প্রচুর ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে দেন। নিজেকে বিশেষজ্ঞ জাহির করে অসাধু উপায়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎও করেন। এমনই তথাকথিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের হাত থেকে সাধারণ রোগীদের বাঁচাতেই মেডিক্যাল কমিশন এমন কড়া পদক্ষেপ নিল বলেই খবর।