আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 19 ডিসেম্বর: বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান লিখে বিপত্তি। দুই ছাত্রকে প্রাণ দিয়ে দেওয়ালে জয় বাংলা লেখার মাশুল গুনতে হল। বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের নেতা মাসুদ রানা ও রায়হান দেওয়ালে এই স্লোগান লেখার পর তাঁদের উপর আক্রমণ করা হয়। প্রকাশ্যে সকলের সামনে তাঁদের কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বাধা দিতে গেলে আহত হন চারজন।
হুমকি-খুন সব এত কিছুর পরও মুখে কুলুপ এঁটেই রয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। সঙ্গে চলছে সত্যি লুকানোর চেষ্টাও। যেমন মঙ্গলবারের খুনের ঘটনাকে নিছক পারিবারিক হিংসা বলে চালানোর চেষ্টা করেছে পুলিশ-প্রশাসন। এ ঘটনা প্রসঙ্গে আওয়ামি লিগের অভিযোগ, এই ঘটনা জামায়াত ইসলামি ও বিএনপি সমর্থকদের মদতে ঘটেছে। নিহতদের একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিকের ছাত্রলীগ সভাপতি এবং নাচোল উপজেলার সহ-সম্পাদক ছিলেন।
পাশাপাশি, বুধবারও সমানতালে জারি রইল ভারত বিরোধী উসকানি। এবার বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তার গলায় ভারতে পরমাণু বোমা হামলার হুমকি। বিজয় দিবসের সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতকে নিশানা করেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা অলি আহমেদ। হুমকি দিয়ে তিনি বলেছেন, “যদি ভারত কোনো পদক্ষেপ করে, তবে তার প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হতে হবে।”
এর আগে, বাংলাদেশের একজন ছাত্রনেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া এক ভাষণে তিনি ভারতবিরোধী মনোভাব প্রকাশ করেন। কিছুদিন আগে বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভির পর এ দিন ফের ভারত বিরোধী উসকানি ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে, বারবার কার ভরসা ও উসকানিতে এমন ঘটনা চলছে? পাকিস্তানের এক কট্টরপন্থী নেতাও বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন।
এছাড়া, ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশে পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়ার নিয়ম শিথিল করা, জিন্নাকে বাংলাদেশের জনক ঘোষণার দাবি তোলা থেকে শুরু করে ১৯৭১-এর পর এই প্রথম চট্টগ্রাম বন্দরে এসে নোঙর করেছে পাকিস্তানি জাহাজ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশের এই ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে নয়াদিল্লির নজরদারি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।