রাষ্ট্রপতিকে তিলোওমার বিল নিয়ে চাপ মহিলা সাংসদ-সহ TMC প্রতিনিধিদল!

আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,১৩ ফেব্রুয়ারি: সরকারেরপক্ষ থেকে আর জি কর হাসপাতালের ওই তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের পর নারী নির্যাতন রুখতে বিধানসভায় ‘অপরাজিতা বিল’ পাশ করিয়েছে। ওই বিল পাস করানোর জন্য  রাজ্যপালের কাছে তা সইয়ের জন্য পাঠানো হলে তিনি রাষ্ট্রপতির দরবারে পাঠান। তবে এই বিলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর না দিলে সেই বিল কার্যকর হয় না। তবে এখন তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন কৌশলে ওই বিলেশই করানোর জন্য রাষ্ট্রপতির ওপর চাপ বাড়ানো হয়। মহিলা সংসদসহ ১১ জন প্রতিনিধির দল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাইসিনা হিলসে গেল।সেখানে রাষ্ট্রপতি মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে বিলের গুরুত্ব বোঝালেন মহুয়া মৈত্র, দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডলরা। দ্রুত স্বাক্ষরের আবেদন জানালেন।

গত বছরের আগস্ট মাসে আরজি করে ওই মর্মান্তিক ঘটনার পর বিধানসভার তরফ থেকে সেপ্টেম্বরেই ‘অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’ পেশ করে শাসকপক্ষ। বিজেপির মতন দলও নারী নিরাপত্তার মতন এমন একটি গুরুত্ব বিষয়ক কোন রকমের বিরোধিতা করেননি। এই বিলটি সর্বসম্মতিতেই পাস করানো হয়েছিল। এই বিলে লেখা আছে, শ্রীলতাহানি, ধর্ষণের মতন কোন ধরনের নারী বিরোধিতা অপরাধ হলে দ্রুত থেকে দ্রুততর ন্যায়বিচার ও তদন্ত থেকে শুরু করে কঠোরতম শাস্তি — এই তিনটির পক্ষে দ্রুত সওয়াল করা হয়েছে। প্রত্যেকটি তদন্তে একুশ দিনের মধ্যে তল্লাশি করা শেষ করে 30 দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে প্রাণদণ্ড এবং ন্যূনতম সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে এই বিলে।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর বেরিয়ে লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ”রাজ্যে নারী নির্যাতন রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অপরাজিতা বিল এনেছেন, সে বিষয়ে আমরা রাষ্ট্রপতিকে বিস্তারিত জানিয়েছি। এই বিলের কী কী সংস্থান, প্রস্তাব আছে, সে বিষয়েও তাঁকে অবগত করা হয়েছে। আমাদের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল তাঁকে সব বুঝিয়েছেন। ধর্ষণের মতো অপরাধে দ্রুত বিচার শেষ করে কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করবে এই বিল।” রাষ্ট্রপতি তাঁদের কথা শুনেছেন, বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাসও দিয়েছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মত, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘অপরাজিতা বিল’ কার্যকর হলে ভোট ময়দানে তার সুফল লাভ করতে পারবে শাসকদল। আর তাই রাষ্ট্রপতির উপর ‘চাপ’ বাড়ানোর কাজ শুরু করল তৃণমূল।