আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,২৮ জানুয়ারি: দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি থানার এলাকায় ঘটে গেল এক মৃত্যু ঘটনা। টোটো চালকটি রাতে বাড়ি ফিরে বিশ্রাম করছিলেন, হঠাৎ করে তার জীবনে নেমে এল মৃত্যুর খাঁড়া। ধারালো অস্ত্রের কোপে মৃত্যু হয় ওই চালকের। মৃতের নাম প্রথম হালদার, বয়স একান্ন বছর। আজ সকাল হতে না হতেই এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোপালনগর চক গ্রামে। খুনের নেপথ্যে তাঁর স্ত্রী রয়েছেন বলে অভিযোগ আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের। অভিযোগ, প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশে স্বামীকে হত্যার মূল ষড়যন্ত্রী স্ত্রীই। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কুলপি থানার পুলিশ। স্ত্রী, তাঁর প্রেমিক ও ১৪ বছরের পুত্রকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই টোটোচালকের স্ত্রী এর নাম মল্লিকা হালদার। কয়েকদিন যাবত তাদের মধ্যে বেশ সমস্যা চলছিল। এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা অনুযায়ী, বেশ কয়েকদিন ধরে মল্লিকার এক অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে। সেই বিষয় নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি চলছিল। এনিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সালিশি সভাও বসেছিল। তাতে অবশ্য তেমন কিছু সুরাহা হয়নি। মল্লিকাদেবী প্রেমের সম্পর্ক থেকে দূরে সরে আসেননি।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে নিজের বাড়িতে ফেরার পর আচমকাই খুন হয়ে যান গৌতমবাবু। দেহ উদ্ধারের পর দেখা যায়, তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কোপানো হয়েছে। এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গৌতমবাবুর স্ত্রী ও তার প্রেমিককে আটক করা হয়েছে। ১৪ বছরের মেয়েকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে তীব্র উত্তেজনা এলাকায়। দ্রুত ঘটনার কিনারা করতে তৎপর তদন্তকারীরা।