হাতেনাতে মাদক-সহ গ্রেপ্তার তৃণমূল অঞ্চলের সভাপতি! ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,১১ মার্চ: খোঁজখবর অনুযায়ী তৃণমূলের অঞ্চলের সভাপতি বেশ অনেকদিন ধরেই বেআইনি কারবার চালাতে। এদিন ব্রাউন সুগার সহ খোদ গ্রেপ্তার হলেন তিনি। তার বাড়ি থেকে ও অফিস থেকে পাওয়া গেছে বেশ কিছু পরিমাণ মাদক। ফলত এই করে ঘটনাকে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারের ডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ওই তৃণমূল সভাপতি কে ছাড়াও আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশেরা আরেকজন ধৃতকে মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করেছে। এদিকে এই ঘটনায় শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক তরজা।

তবে খবর এসেছে, পুলিশরা গোপন সূত্রের মাধ্যমে এই ধৃতদের পাকড়াও করেছে। সোমবার রাতে ডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের (পশ্চিম) অঞ্চল সভাপতি বিষ্ণু রায়ের বাড়িতে হানা দেন পুলিশ আধিকারিকরা। মুহূর্তের মধ্যে ওই ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। বিষ্ণু রায় স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবেও নিযুক্ত। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে ওই মাদক কারখানা। বাড়ি থেকে এবং কার্যালয় থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু পরিমাণ ব্রাউন সুগার। তাঁর বাড়িতে এক অপরিচিত যুবককেও দেখতে পাওয়া যায়। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাস করেন তদন্তকারীরা।

মালদাহের বাসিন্দা ছিল ওই যুবক। সে শুধুমাত্র মাল ডেলিভারির জন্য এখানে এসেছিল। ধৃতদের থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, বেশ কিছু পরিমাণ টাকা ও কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে। ওই তৃণমূল নেতা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। এমনই অনুমান পুলিশের। ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ঘটনা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে।

এই ঘটনা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। দল অভিযুক্তের পাশে থাকবে না। আইন অনুসারে তদন্ত হবে। এই কথা জানিয়েছেন, আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল নেতা পরিতোষ বর্মণ। কেবল আলিপুরদুয়ার নয়, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় মাদক পাচার হচ্ছে। আর এই কাজে কেবল মদত নয়, সরাসরি তৃণমূলের নেতারা জড়িত। এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা।