আজ এখন,দেবপ্রিয়া কর্মকার,১৩ মার্চ: এদিন সামনে এলো এক অদ্ভুত ঘটনা। নিজের সমস্ত আসল কাগজপত্র দিয়ে সরকারে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্পে আবেদন করেছিলেন। তবে চার বছর কেটে গেলও টাকা পাচ্ছে না। বহুদিন ধরে সরকারি দপ্তরে ছোটছুটি করেছে, তাঁর লক্ষ্মী ভাণ্ডারের আবেদন চার বছর আগেই গৃহীত হয়েছে। তবুও কিন্তু টাকা যাচ্ছে, গ্রামের একই নামের এক মহিলা অন্যদিকে ব্যাঙ্কের খাতায়।
কেন হচ্ছে এমন সমস্যা? বিডিও সৌমেন্দু পালের সাফাই প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এমনটা হয়েছে। শুধু কী তাই? তবে সরকারি কাজের গাফলতি নিয়েও অনেক কথা উঠেছে। গৃহবধূর স্বামী জানিয়েছেন সমস্যার সুরাহা না হলে মামলা দায়ের করবেন। সমাধানের চেষ্টা চলছে জানিয়েছেন বিডিও।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা ১ ব্লকের বেড়াবেরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাবানা খাতুন। ২০২১ সালে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। তবে দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও টাকা পাননি সাবানা। স্থানীয় স্তরে বিষয়টি জানান তিনি। তবে সমাধান মেলেনি।
তারপর ওই বিডিও অফিসেও যান। তখন জানা যায়, তাঁর নামে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু রয়েছে। তবে একই নামে অন্য গ্রামের এক মহিলার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে। সুরাহার জন্য দু’জনকেই ডেকে পাঠান বিডিও। অন্য গ্রামের সাবিনা খাতুনকে বলা হয় নাম কাটিয়ে, নতুন করে আবেদন করতে। কিন্তু এখন বেঁকে বসেছে তিনি। এতএব, বেড়াবেড়িয়া গ্রামের সাবানা খাতুনের টাকা তিনি পাচ্ছেন, সঙ্গে পাচ্ছেন নিজের নামের টাকাও। সমস্যা যে তৈরি হয়েছে তা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সম্পা মণ্ডলও বিষয়টি মেনে নিয়েছেন।
প্রশ্ন উঠছে সত্যি কী প্রযুক্তিগত কারণ না কি, সরকারি কাজে গাফিলতি। কাঁর বা কাঁদের গাফিলতিতে প্রকল্প থেকে বঞ্চিত বাংলার বধূ। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় থেকে প্রশাসনের কর্তারা বারবার সর্তক হতে বলছেন। তারপরও কেন এই অবস্থা? উঠছে প্রশ্ন।