সকাল থেকে ফোন ধরছিলেন না! আর্থিক সমস্যার কারণে আত্মঘাতী স্বামী

আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,৭ ফেব্রুয়ারি: সংসারে অনটনের কারণে অশান্তি ছিল। গতকাল স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে তুমি ঝামেলা হয়। তারপর বাপের বাড়ি চলে যাই স্ত্রী রাগ করে। এবং আজ সকাল বেলায় ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় স্বামীর ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বারুইপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনার কারণে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সারা এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মৃত ব্যক্তির নাম উত্তম বারিক (৫২)। স্ত্রীর নাম সঙ্গিতা বারিক। তাদের বিয়ে হয়েছে আজ থেকে কুড়ি বছর আগে। উত্তমবাবু পেশায় একজন দালাল ছিলেন। অনেকদিন হলো তার কাজ এখন অনেকটাই কমে গেছে আগের থেকে। উত্তমবাবুর বাজারে অনেক দেনা দেয় হয়ে গেছে এমনটাই খবর পাওয়া গেছে। এদিকে সংসারেও অনটন চলায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও বিবাদ চলছিল অনেক দিন ধরে।

উত্তম বাবুর কাছে গতকাল তার স্ত্রী সংসার খরচের জন্য টাকা চাওয়ায় পাননি। যার জেরে দুজনের মধ্যে প্রবল অশান্তি হয়। রাগ করে স্ত্রী সন্ধেবেলা বারুইপুরের বিড়াল এলাকায় বাপেরবাড়ি চলে যান মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে। রাতে আর দুজনের মধ্যে কোনও যোগাযোগ হয়নি। আজ শুক্রবার স্বামীকে একাধিকবার ফোন করেন স্ত্রী সঙ্গিতা। কিন্তু তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশী এক যুবককে ফোন করে ওই বাড়িতে যেতে বলেছিলেন ওই মহিলা।

সেই মতো যুবক ওই বাড়িতে এসে উত্তমবাবুর নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকেন। বাড়ির সব দরজা-জানলা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। এরপর ওই যুবক বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। দেখা যায়, জানলার সঙ্গে উত্তম বারিকের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের জন্যই এই ঘটনা? পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। ওই দম্পতির একমাত্র মেয়ে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া।