আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,২৩ ফেব্রুয়ারি: এবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানা হল আড়াইশো আসন জয়। রাজ্যের তৃণমূল শাসকদল নতুন বছরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রণকৌশল ঠিক করতে ঝাঁপিয়ে পড়ল। তবে আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বহু প্রতীক্ষিত বৈঠকে বসছে তৃণমূল শিবির। সব সাংসদ, সব বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি-সহ দলের সমস্ত পদাধিকারীকে ডাকা হচ্ছে।সবাইকে দলের তরফে থেকে আমন্ত্রণ পৌঁছে যাবে। নেতাজি ইন্ডারের সেই বৈঠকে সংগঠনের রদবদল নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা প্রবল। নেতাজি ইন্ডোরে ২৭ তারিখের এই বৈঠকে ছাব্বিশের নির্বাচনের প্রাথমিক রূপরেখা স্থির হতে পারে বলে এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
জোড়াফুল শিবির ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের দারুণ সাফল্যকে হাতিয়ার করে আগামী নির্বাচনে ঝাঁপাচ্ছে। বড় হাতিয়ার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত জনকল্যাণমূলক সামাজিক প্রকল্প, নাগরিক পরিষেবা। আর তা আরও জোরদার করার লক্ষ্যে দলনেত্রী আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন আড়াইশো। আর সেই লক্ষ্যপূরণের জন্য সংগঠনে প্রয়োজনীয় রদবদলও করতে চান নেত্রী। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে এনিয়ে মমতা বৈঠকে বসতে পারেন, সেই জল্পনা ছিল। এবার দিনক্ষণ জানা গেল।
মনে করা হচ্ছে, নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠকে দলীয় নীতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুশাসনের সঙ্গে কঠোর নিয়মশৃঙ্খলায় দলকে বেঁধে জনসংযোগ আরও বাড়াতে নতুন নতুন কর্মসূচি স্থির করে দিতে পারেন তিনি। সেক্ষেত্রে অবশ্যই জোর দেওয়া হবে একের পর এক সামাজিক-অর্থনীতির চেহারা বদলে দেওয়া সরকারি প্রকল্পের প্রচার, পরিষেবা, তার সঙ্গে উন্নত ও ততোধিক মজবুত সংগঠন তৈরির কৌশল, যা দিয়ে তিনি ২৬-এর বিধানসভায় রেকর্ড ভোটে জয়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। তাই সাতাশের বৈঠকের দিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। বিশেষত দলে কী রদবদল ঘটালেন সুপ্রিমো, সেদিকে।
