আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 19 ডিসেম্বর: বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, এ প্রশ্ন বহুদিন ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘুরপাক খাচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আলোচনা নতুন করে তীব্র হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে সরব। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি জানান, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এই ঘোষণার পর বিরোধী শিবিরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলো অভিযোগ তুলেছে, নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশে এত বিলম্ব কেন করা হচ্ছে। তাদের দাবি, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার এই কৌশল জনগণের ভোটাধিকার হরণের চেষ্টা। অন্যদিকে, মুহাম্মদ ইউনূস তার ভাষণে জানান, “নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য সময় প্রয়োজন। এটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।” তবে বিরোধী দলগুলো তার এ বক্তব্যকে অজুহাত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সরকারের এই পরিকল্পনা গণতন্ত্রের বিপরীতমুখী। জনগণকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।”
নির্বাচন কমিশন বা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এই বিতর্ক নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন প্রশ্ন উঠছে, ‘পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে এবং আসন্ন নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হবে।’ এখন অধীর আগ্রহে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে দেশের মানুষ।