আজ এখন ডেস্ক, 8 জানুয়ারি: পাঁচ বছর আগে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস (COVID-19) সারা বিশ্বে তাণ্ডব চালায়। ভাইরাসটির ফলে লক্ষাধিক মানুষ মারা যায় এবং লকডাউন জারি করা হয়। আবারও, একটি নতুন ভাইরাস “হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস” (HMPV) উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। চীনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস এখনও পর্যন্ত ভারতসহ ৫টি দেশে প্রবেশ করেছে। এই ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান গতি এবং উপসর্গ বিশ্বকে আবারও সতর্ক করে দিয়েছে। সোমবার ভারতে এইচএমপিভির পাঁচটি মামলা নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে, একটি গুজরাটের আহমেদাবাদে এবং একটি চেন্নাই ও তামিলনাড়ুর সালেমে।
এদিকে লকডাউন চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মানুষের মনে প্রশ্ন আসছে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের মতো বিপর্যয় আর একবার আসবে কিনা? তবে কি আবার জারি হবে লকডাউন? চলুন জেনে নেই এই ভাইরাস সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের উত্তর। HMPV, অর্থাৎ হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস, একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস। এটি শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে।
1) করোনা ভাইরাসের চেয়ে HMPV কতটা বিপজ্জনক?
এইচএমপিভি মানুষের শ্বাসকষ্টের সমস্যাও সৃষ্টি করে, তবে এটি COVID-19-এর চেয়ে কম বিপজ্জনক। করোনা ভাইরাসের মতো এটিও একটি বায়ুবাহিত ভাইরাস। তবে এর সংক্রমণের সুযোগ এবং জটিলতা কোভিড-১৯ এর চেয়ে কম। এর অর্থ হল এটি ছড়িয়ে পড়লেও লকডাউনের মতো পরিস্থিতি দেখা যাবে না।
2) এইচএমপিভি ভাইরাস এর উৎপত্তি কখন হয়েছিল?
HMPV প্রথম 2001 সালে সনাক্ত করা হয়েছিল। এই ভাইরাসটি নিউমোভিরিডি পরিবারের সদস্য (প্যারামিক্সোভিরিডি পরিবারের অংশ) এবং শ্বাসযন্ত্রের সিনসিটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) এর সাথে সম্পর্কিত।
3) কী ভাবে HMPV ভাইরাস ছড়ায়?
HMPV ভাইরাস কাশি, হাঁচি বা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাস সংক্রামিত পৃষ্ঠকে স্পর্শ করে এবং তারপর আপনার চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
4) HMTV লক্ষণগুলো কী কী?
এইচএমপিভি ভাইরাসের সাধারণ উপসর্গ সম্পর্কে বলতে গেলে, এতে আক্রান্ত ব্যক্তির নাক দিয়ে জল ঝরতে থাকে। কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়াই এর লক্ষণ। গুরুতর ক্ষেত্রে – ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, শ্বাসযন্ত্রের অন্যান্য গুরুতর সমস্যা।
5) এইচএমপিভি ভাইরাসের ঝুঁকিতে কারা সবচেয়ে বেশি?
শিশুরা HMPV ভাইরাসের ঝুঁকিতে বেশি থাকে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তারাও ঝুঁকিতে রয়েছে। বয়স্করাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, কারণ বয়সের সাথে সাথে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। যারা দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন – যেমন হাঁপানি, সিওপিডি এবং হৃদরোগের রোগীরাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।