বিয়ের পর জোর করে স্ত্রীর পড়াশোনা বন্ধ করায়, উচ্চআদালতের কাছে মহিলা

আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,৮ মার্চ: বিয়ের পর জোর করে স্ত্রীর উপর আধিপত্য খাটিয়ে পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়া স্বামীর নিষ্ঠুরতারই পরিচয়। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট এক মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ করলেন। এটা আসলে পুরোটাই স্ত্রীয়ের স্বপ্নকে নষ্ট করার চেষ্টা, এমনটাই উচ্চ আদালত জানিয়ে দিল।

একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় হাই কোর্টের ইন্দোর বেঞ্চে শুনানি ছিল। ওই মহিলা বিচ্ছেদের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন। ২০১৫ সালে সাজাপুরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। আর বিয়ে ঠিক আগে তিনি দ্বাদশ শ্রেণী পরীক্ষা পাস করেন। এবং আগামীদিনে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই। তবে বিয়ের পর সেই ব্যবস্থা বন্ধ করে দেন তার স্বামী। শ্বশুরবাড়ি থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর পড়াশোনা। ওই মহিলা এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি। তাই পৈতৃক বাড়িতে ফিরে এসে তিনি ডিভোর্সের মামলা রুজু করেন, এমনটাই জানান তিনি। তবে আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। উল্টে বিচার ক স্বামীর সঙ্গে সংসারজীবন করার পরামর্শ দেয়। তারপর এমন রায় মানতে না পারায় তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

এদিন হাই কোর্ট জানিয়েছে, ”এটি একটি এমন বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা যেখানে আবেদনকারী ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে স্বামীর থেকে আলাদা থাকেন। ভবিষ্যতেও মিটমাটের সম্ভাবনা নেই।” সেই সঙ্গেই বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, ”এটা সত্যি যে, ২০১৫ সালের ১ মে বিয়ের পর থেকে ১০ বছরে, আবেদনকারী এবং বিবাদী ২০১৬ সালের জুলাই মাসে মাত্র তিন দিন একসঙ্গে ছিলেন। সেই দিনগুলিতে স্ত্রীর অভিজ্ঞতা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। এবং এর পর থেকে তারা আর কখনও একসাথে থাকেননি।”

এরপরই আবেদনকারীর স্বামীর ভর্ৎসনা করে আদালত বলে, ”স্ত্রীকে পড়াশোনা বন্ধ করতে বাধ্য করা অথবা এমন পরিবেশ তৈরি করা যেখানে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন না, এটা বৈবাহিক জীবনের একেবারে শুরুতেই তাঁর স্বপ্ন ধ্বংস করার সমতুল।”

18:56