আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,৬ জানুয়ারি: আমাদের পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েকদিন ধরেই গোপনে অনুপ্রবেশকারীদের আসা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিএসএফরা কোচবিহার থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত সমীক্ষা করে জানান, প্রায় ২০০রও বেশি জায়গায় ব্ল্যাক স্পট পাওয়া গেছে।
উত্তরবঙ্গে ফ্রন্টইয়ার সীমান্তের অন্তর্গত ৭৫টি জায়গা,দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টইয়ারের অন্তগর্ত ১৩৫টি জায়গা,কোচবিহার সীমান্তের ৮-১০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। এবং এইগুলোকেই ‘ব্ল্যাক স্পট’ বলে জানিয়েছে। বিএসএফের কমান্ড সূত্রের খবর, দুর্গম এলাকা, নদীর প্রচন্ডস্রোত-সহ একাধিক কারণে ওই জায়গাগুলি নজরদারির বাইরে থেকে যাচ্ছে। অতীতে গরু পাচারের জন্য ব্যবহার করা হত এই ব্ল্যাক স্পটগুলো। এখন সেই জায়গাগুলো অনুপ্রবেশকারীরা হাতিয়ার করছে। বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সূত্রের খবর, এই জায়গাগুলোর একাংশতে ইতিমধ্যেই বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষ নজরদারির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসএফ।
বিএসএফের আইজি মনিন্দর সিং পাওয়ার বলেন, “এখনও পর্যন্ত আমাদের ক্ষেত্রে অরক্ষিত সীমান্তে কোনও অসুবিধা হয়নি। বিএসএফের বড় অংশ এখানে মোতায়েন করা হয়েছে। প্রযুক্তিও অত্যন্ত উন্নত হয়েছে। তার সাহায্যে রিমোট এলাকাগুলোতেও ভালভাবে নজরদারি চালানো যাবে। ”
বিএসএফদের শীর্ষ অধিকাররা তরেস্তরে বৈঠকে বসছেন। যাতে এই ব্ল্যাক স্পটের যে অংশগুলিকে নিয়ে সবথেকে বেশি চিন্তার, সেগুলিকে নিয়ে কি করা যায়, তা নিয়ে তোমাকে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়ে গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়নি।
আপাতত জানা গেছে, বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির জন্য ভারতে যে অনুপ্রবেশের সংখ্যা বেড়েছে, তার মধ্যে ৮০ শতাংশই এই ব্ল্যাক স্পট এলাকাগুলো দিয়ে হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন প্রশাসন।